ফোনের লাউডস্পিকার ‘অন’ করে সিবিআই আধিকারিকেরা তাঁর সঙ্গে কথা বলতে দেয়। সূত্রের খবর,হেফাজতে থাকাকালীন মেয়ের কথা বার বার বলছিলেন তিনি। এক বার কথা বলিয়ে দেওয়ার জন্য সিবিআই আধিকারিকের কাছে কাতর মিনতি করছিলেন তিনি। সেই অনুরোধ মেনে সুকন্যার সঙ্গে তাঁকে দু’বার কথা বলিয়ে দেয় সিবিআই। মেয়ের সঙ্গে যখন কথা হচ্ছিল, সেই সময় সিবিআই আধিকারিকরা সামনেই বসে ছিলেন।এমনকি ফোনটা স্পিকারে রাখা ছিল।
advertisement
আরও পড়ুন : উচ্চতায় টেক্কা আইফেল টাওয়ারকেও! ভূস্বর্গে পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হতে চলেছে চেনাব রেলসেতু
তবে বাবা মেয়ের কথা বেশ আবেগপূর্ণ ছিল বলেই খবর। জানা গিয়েছে, অনুব্রত এবং তাঁর মেয়ে দু’জনেই কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন । কথা শেষ হলে দুপুর ২ টো ৪০ মিনিটে অনুব্রতকে নিয়ে কম্যান্ড হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দেন সিবিআই আধিকারিকরা। কম্যান্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর,আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ডাক্তারদের বোর্ড তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন। সে ভাবে শারীরিক কোনও অসুবিধে ধরা পড়েনি। রক্তচাপ থেকে রক্তের শর্করা, সবই স্বাভাবিক ছিল। বুকের ইসিজি করেও ডাক্তাররা স্বাভাবিক পায়।
আরও পড়ুন : 'কেষ্ট গেছে খাঁচার ভিতর', অনুব্রতকে নিয়ে 'চড়াম চড়াম গান' বাঁধল রাহুল- নীলাব্জ
পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সেখান থেকে বিকেলে অনুব্রতকে আবার নিজাম প্যালেসে ফিরিয়ে আনা হয়।এবং তাঁর জন্য যে নির্দিষ্ট থাকার ব্যবস্থা করেছে সেখানে তাঁকে রাখা হয়। অনুব্রতকে সিবিআই এর গেস্ট হাউসে রাখা হয়েছে। জানা গিয়েছে, শুক্রবার হাসপাতাল থেকে ফিরে আসার পর চা বিস্কুট খেয়েছেন তিনি। সন্ধ্যার পর মুড়ি চেয়েছিলেন সিবিআই কর্তাদের কাছে।প্রশ্ন উত্তরে বেশ কিছু জায়গায় এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। তবে দল তাকে নিয়ে কী ভাবছে? সূত্রের খবর, তা জানতেই মাঝে মাঝেই টেলিভিশন সেটের দিকে তাকিয়ে থাকছেন তিনি।