রবিবার মেট্রো স্টেশনে যুগলকে হেনস্থার ঘটনায় বেশ কয়েকজনের ছবি ক্যামেরায় ধরা পড়ে। তাঁরা কারা ? ঘটনার দীর্ঘক্ষণ বাদেও তা স্পষ্ট নয়। এর মধ্যেই ওই ঘটনায় অভিযুক্ত বলে দাবি করে সোশাল মিডিয়ায় তুলে দেওয়া হল বেশ কয়েকজনের প্রোফাইল। কিন্তু বাস্তব হল, ক্যামেরায় ধরা পড়া ব্যক্তিদের সঙ্গে ফেসবুকে আপলোড হওয়া প্রোফাইলের কোনও মিল এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। আর এখানেই উঠছে নানান প্রশ্ন।
advertisement
প্রশ্ন হল কারা ঠিক করলেন এঁরা অভিযুক্ত ? কীসের ভিত্তিতেই বা তা ঠিক হল ? কারণ, ঘটনার দিনের পর থেকেই উধাও হেনস্থা হওয়া ওই যুগল। সরকারি ভাবে তাঁরা এখনও কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি। শেষ পাওয়া খবর অনুাযী, রবিবারের ঘটনায় পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে এখনও কোনও মামলা দায়ের করেনি। তা-হলে এধরনের ছবি পোস্টের কী ভিত্তি ? ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, এক দাদাগিরি থামাতে গিয়ে শহরের একাংশ ফেসবুককে হাতিয়ার করে আরেক দাদাগিরি করছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার প্রতিবাদ হয়েছে।
আরও পড়ুন
মেট্রোয় নীতি পুলিশের বাড়বাড়ন্ত, টালিগঞ্জ মেট্রোর বাইরে প্রতিবাদে যুবক-যুবতীরা
এই ঘটনার পর ঘুরে ফিরে আসছে সেই সোশাল মিডিয়ার দায়বদ্ধতার প্রসঙ্গ। ইতিমধ্যেই তার প্রতিবাদ করেছেন শহরবাসী। বিভিন্ন মহলের মতে, একটা ঘটনার প্রতিবাদ করা মানে নতুন করে বিতর্ক উসকে দেওয়া নয়।
সমাজতাত্ত্বিকদের মতে, সংবেদনশীল ঘটনার ক্ষেত্রে আরও একটু ধৈর্য্য দেখানো প্রয়োজন শহরবাসীর। কারণ, তথ্যপ্রমাণ ছাড়া অভিযুক্ত বলে কাউকে দাগিয়ে দেওয়াও অপরাধের সামিল।