আজ, শনিবার নবান্নর সভাঘরে ইস্টার্ন জোনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করার আগেই শহরে পৌঁছে রাজ্য দফতর মুরলীধর সেন লেনে গিয়ে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে শাহী বৈঠক করার নেপথ্যে অমিত শাহর রাজনৈতিক কৌশল দেখছে ওয়াকিবহল মহল। ইতিমধ্যেই বিরোধীদের একাংশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অমিত শাহর সঙ্গে আলাদা বৈঠকের সম্ভাবনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই 'সেটিং' তত্ত্ব নিয়ে সরব হন। এবং মমতা-শাহ বৈঠকের পর 'সেটিং' তত্ত্ব নিয়ে বিরোধীরা সুর আরও চড়াতে পারেন। ভুল বার্তা যেতে পারে দলের অন্দরেও। বিষয়টির আঁচ পেয়েই কি কলকাতার মাটিতে পা দিয়েই প্রথমে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নেন অমিত শাহ? এই প্রশ্ন নিয়েই এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন- ২০২৪-এ আরও বেশি আসন চাই, প্রথম বার রাজ্য় দফতরে পা দিয়েই কঠিন লক্ষ্য় বেঁধে দিলেন শাহ
অমিত শাহ কি তাহলে 'সেটিং' তত্ত্ব খারিজ করার লক্ষ্যেই নিজের কলকাতার সফরসূচিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করার আগে প্রথমে বাংলার বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে একদিকে বিরোধীদের অন্যদিকে দলীয় কর্মী, সমর্থক ও নেতৃত্বদেরও বার্তা দিতে চাইলেন? জল্পনা শুরু হয়েছে তা নিয়ে। যদিও প্রকাশ্যে না বললেও অনেক বিজেপির প্রথম সারির নেতারাই বলছেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের আগে আমিত শাহ একেবারে বিজেপির রাজ্য দফতরে পৌঁছে যেভাবে সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ, জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পাল, অমিত মালব্য-সহ অন্যান্য পদ্ম শিবিরের নেতৃত্বকে একসঙ্গে বসিয়ে সাংগঠনিক বিভিন্ন বিষয়ে বৈঠক করলেন তাতে বাংলার গেরুয়া শিবির যে উজ্জীবিত হল তা বলাই যায়।’’
এদিনের শাহী বৈঠকে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের কাছে বাংলার বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির খোঁজ নেন অমিত শাহ। তৃণমূলের পাশাপাশি কংগ্রেস এবং বিশেষ করে সিপিআইএমের বর্তমান সংগঠনের কি হাল? বৈঠকে হাজির বাংলার নেতাদের কাছে জানতে চান শাহ বলে পদ্ম শিবির সূত্রের খবর।