এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে আজই রাজ্য সরকারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী ও তৃণমূলের মহাসচিব, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে ইডি।
আরও পড়ুন: অভিযোগ প্রমাণিত হলে তবেই পার্থর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, অবস্থান স্পষ্ট করে জানালো তৃণমূল
দিনভর টানাপোড়েন আর স্নায়ূযুদ্ধের শেষে পার্থর জেলযাত্রায় স্বভাবতই চাপে তৃণমূল। তৃণমূলের একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে মমতা বলেছিলেন, শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি হয়ে থাকলে প্রকৃত দোষীরা শাস্তি পাবে। তৃণমূলের মুখপাত্র কূণাল ঘোষ বলেন, দুর্নীতি তদন্তে ইডি যা বলছে তার জবাব অভিযুক্ত ও তার আইনজীবী দেবেন। এ বিষয়ে দল কোন মন্তব্য করবে না। তবে যাই হোক না কেন, পার্থর গ্রেপ্তারিতে নানা সমস্যায় কোণঠাসা হয়ে পড়া বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব উজ্জীবিত৷
advertisement
এই রাজনৈতিক পটভূমিতে বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠকে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'এই সুযোগকে হাতছাড়া করা যাবে না। পঞ্চায়েত ও ২৪- এর লোকসভা ভোটের আগে, সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধ করে, আন্দোলনমুখী করতে তৃণমূল ও রাজ্য সরকারের এই দুর্নীতিকে হাতিয়ার করে জেলায় জেলায় আন্দোলন শুরু করতে হবে।'
আরও পড়ুন: 'আমি কোনও অন্যায় করিনি, ফাঁসানো হয়েছে', অর্পিতাকে বাড়ি থেকে নিয়ে গেল ইডি
রাজ্যের ক্ষমতা দখলের লক্ষ্যে থাকা বিজেপি যে শাসক দলের এই পরিস্থিতিকে রাজনৈতিক ভাবে কাজে লাগানোর জন্য চেষ্টা করবে এটা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু , শাসক দলের হেভিওয়েট মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ইডির জালে ধরা পড়তেই, যেভাবে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে রাজ্যে এনে পরিস্থিতির ফায়দা তোলার চেষ্টা শুরু করে দিল বিজেপি, সেটা যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
যদিও, তৃণমূল অভিযোগ করছে, ২১-এর হারের পর, মুষড়ে পড়া বিজেপিকে অক্সিজেন দিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে কাজে লাগিয়েছে বিজেপি।