নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, নির্দল প্রার্থী হিসেবে ভবানীপুর কেন্দ্রে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন বেহালা পর্ণশ্রী অঞ্চলের বাসিন্দা ৫৪ বছর বয়সী মলয় গুহ রায়। তাঁর মনোনয়ন গৃহীতও হয়েছে কমিশনের তরফে। আবার ভারতীয় ন্যায় অধিকার রক্ষা পার্টির (Bharatiya Nyay-Adhikar Raksha Party) তরফে ভবানীপুর উপনির্বাচনে লড়ছেন তপসিয়ার মহেন্দ্র রায় লেনের বাসিন্দা ৪৫ বছর বয়সী স্বর্ণলতা সরকার। আবার ওয়াটগঞ্জের বাসিন্দা ৩৪ বছর বয়সী সাহিনা আহমেদ লড়বেন নির্দল প্রার্থী হিসেবে। শেষ নয় এখানেই, কসবার বাসিন্দা ৩৭ বছর বয়সী শতদ্রু রায লড়বেন হিন্দুস্তানী আওয়াম মোর্চার প্রার্থী হিসেবে।
advertisement
হরিদেবপুরের বাসিন্দা ৬২ বছর বয়সী সুব্রত বসু ভবানীপুর থেকে লড়বেন নির্দল প্রার্থী হিসেবে। বহুজন মহা পার্টির তরফে ভবানীপুর উপনির্বাচনে লড়ছেন মঙ্গল সরকার। তিনি হুগলির মাহেশের বাসিন্দা। তাঁর বয়স ৪১ বছর।
আরও পড়ুন: জটিলতা আরও বাড়ল? ভবানীপুরের ভোট নিয়ে কমিশনের উপর চরম ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট! যা হল..
প্রসঙ্গত, গত ৬ সেপ্টেম্বর ভবানীপুরের উপনির্বাচন নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল নির্বাচন কমিশন। কমিশনের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল, ৩০ সেপ্টেম্বর সকাল ৭টা থেকে সন্ধে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত চলবে ভবানীপুরের ভোটগ্রহণ। ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছিল মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। আর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল ১৬ সেপ্টেম্বর। ৫ অক্টোবরের আগে সম্পূর্ণ করতে হবে নির্বাচন প্রক্রিয়া। এমনই নির্দেশ জারি করেছে কমিশন।
এদিকে, ভবানীপুর উপনির্বাচন (Bhabanipur By Poll) নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) চরম ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয়েছে নির্বাচন কমিশনকে (Election Commission)। বৃহস্পতিবারই নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্যে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা একটি উপনির্বাচনে কীভাবে তৈরি হল, তা জানাক নির্বাচন কমিশন। আর এদিন সেই হলফনামা জমা দিতেই হাইকোর্ট চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশনের ভবানীপুরের ভোট নিয়ে পদক্ষেপকে ঘিরে। ভবানীপুর উপনির্বাচন নিয়ে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে আদালত প্রশ্ন করে, 'একটি আসনের জন্যই সংবিধান আর আইনের বাধ্যবাধকতা? মুখ্যসচিব কীভাবে লেখেন সাংবিধানিক সংকটের কথা? মুখ্যসচিবের চিঠির ভিত্তিতে কীভাবে পদক্ষেপ নিতে পারে নির্বাচন কমিশন?'
