বিধানসভা ভোটের লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই প্রচার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। আগামী ১’লা জানুয়ারি থেকে চলবে সেই প্রচার কর্মসূচী। এরই মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সফর রাজনৈতিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যে জায়গা বাছাই করা হয়েছে, সেখানে প্রচার চালালে একাধিক দিকের মানুষের কাছে সহজেই বার্তা চলে যাবে। তাই বাঁকুড়ার এই স্থানই বেছে নিয়েছে তৃণমূল।
advertisement
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ভারতের ‘১০,০০০ টাকা’ নিয়ে গেলে ‘কত’ টাকা দাঁড়াবে জানেন…? চমকাবেন শুনলেই!
আজ মঙ্গলবার দুপুরে বাঁকুড়ায় জনসভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বড়জোড়ার বীরসিংহ ময়দানে তৈরি হয়েছে ১২০ ফুট দৈর্ঘ, ৬০ ফুট প্রস্থবিশিষ্ট সভামঞ্চ। সামনে আলাদা ভিআইপি করিডর ও মিডিয়া গ্যালারি রাখা হয়েছে। সভাস্থল ঘুরে দেখেন বাঁকুড়ার জেলাশাসক সিয়াদ এন, অতিরিক্ত জেলাশাসক নকুলচন্দ্র মাহাতো, পুলিশ সুপার সৌম্যদীপ ভট্টাচার্য। ছিলেন বড়জোড়ার বিডিও কার্তিকচন্দ্র রায়, আইসি দেবাশিস পান্ডা, সাংসদ অরূপ চক্রবর্তী, বিধায়ক অলোক মুখোপাধ্যায় প্রমুখ। মঙ্গলবার হেলিকপ্টারে মাঠে আসবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেজন্য তৈরি হয়েছে অস্থায়ী হেলিপ্যাড। মহড়ায় পরীক্ষামূলকভাবে ওড়ানো হয় হেলিকপ্টার।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বড়জোড়ায় সভার মাধ্যমে তৃণমূল মূলত তিন-চারটি বার্তা দিতে চাইছে। SIR আবহে ‘হয়রান’ জনতার পাশে থাকা, শিল্প ও কর্মসংস্থানের প্রশ্নে রাজ্যের অবস্থান তুলে ধরা, কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগে ফের ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের ডাক এবং শ্রমিক-মধ্যবিত্ত ভোটব্যাঙ্ককে আবার সংগঠনের ছাতার তলায় আনা। আবার পশ্চিম ও পূর্ব বর্ধমান সংলগ্ন এই এলাকায় বিজেপির সংগঠন শক্তিশালী হওয়ায়, মুখ্যমন্ত্রীর সরাসরি সভা তৃণমূলের কাছে পালটা রাজনৈতিক অস্ত্র।
