সূত্রের খবর, নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলেও দলের সদস্যপদ নবীকরণ করেননি অজন্তা৷ ফলে দলের সঙ্গে তিনি সম্পর্কচ্ছেদ করলেন, সেরকমটাই ধরে নেওয়া হচ্ছে৷
আরও পড়ুন: ফাইল ফেরত পাঠালেন রাজ্যপাল, আটকে গেল বাবুলের শপথগ্রহণ! ফের সংঘাত?
প্রসঙ্গত, অজন্তা বিশ্বাসকে আগেই ছ' মাসের জন্য সাসপেন্ড করেছিল সিপিএম৷ তৃণমূলের মুখপত্র 'জাগো বাংলা'-য় একটি লেখার জন্য অজন্তাকে শো কজ করা হয় দলের পক্ষ থেকে৷ ওই লেখায় মহিলা নেত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করেছিলেন অজন্তা৷ পেশায় অধ্যাপক অজন্তার জবাবে সন্তুষ্ট না হয়ে তাঁকে শেষ পর্যন্ত সাসপেন্ড করে দল৷
advertisement
আরও পড়ুন: 'সিপিএম স্টালিনিস্ট দল!' অজন্তার সমর্থনে জাগো বাংলায় লিখলেন ক্ষিতি কন্যা বসুন্ধরা
'জাগো বাংলা'-য় দু'টি কিস্তিতে প্রকাশিত হয় অজন্তার লেখা৷ প্রথম কিস্তি ছাপার পরই সিিপএমের পক্ষ থেকে অজন্তাকে সেই লেখা প্রত্যাহার করতে বলা হয়৷ কিন্তু তা করেননি অজন্তা৷ পরবর্তী সময়ে তাঁকে ছ' মাসের জন্য সাসপেন্ড করা হয়৷ সূত্রের খবর, এর পর আর সিপিএমে নিজের সদস্যপদ নবীকরণ করেননি অজন্তা৷
অজন্তা অবশ্য প্রথম নন, এর আগে আরএসপি নেতা এবং রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী প্রয়াত ক্ষিতি গোস্বামীর মেয়ে বসুন্ধরা গোস্বামী বাম শিবিরকে ধাক্কা দিয়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন৷ তৃণমূলের টিকিটে ভোটে জিতে কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলরও নির্বাচিত হয়েছেন তিনি৷ অজন্তা নিজের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে কী সিদ্ধান্ত নেন, তা হয়তো সময়ই বলবে৷