তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার জানিয়েছেন, প্রতি বছরের মতো এ বছরও কেন্দ্রীয়ভাবে মেয়ো রোডে আয়োজিত হবে এই কর্মসূচি। যদিও প্রতিবছর সংখ্যালঘু সেল এই অনুষ্ঠানের দায়িত্বে থাকে, এবছর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের যুব ও ছাত্র সংগঠনকে। দলের মূল নেতৃত্ব এবং যুব নেতাদের উপস্থিতিতে এবারের সমাবেশ আরও বড় আকার নিতে পারে বলে অনুমান। রাজনীতির কারবারিদের মতে, এসআইআর ঘিরে রাজনৈতিক বিতর্ক, রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে বিজেপির তোপ এই সংহতি দিবসের মঞ্চকে বিজেপিকে আক্রমণের অন্যতম প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করতে পারে ঘাসফুল শিবির।
advertisement
আরও পড়ুন: ‘মা-কে খুন করে দিত, ‘ভারত না থাকলে…,’ মোদির প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ শেখ হাসিনার ছেলের
তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘সংহতি দিবস তৃণমূলের কাছে শুধু সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা দেওয়ার দিন নয়, বরং বিজেপির ‘ধর্মের রাজনীতি’র বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলারও কৌশলগত দিন। দলের তরফে ধর্মনিরপেক্ষতা, সামাজিক সম্প্রীতি, গণতান্ত্রিক অধিকার এবং ‘সাম্প্রদায়িক মেরুকরণ’-এর বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা দেওয়া হয়ে এসেছে। এ বারের সভায় বড় জমায়েত করতে চাইছে তৃণমূল। তবে এবার এই সমাবেশ আয়োজনে বড় ভূমিকা নেবে ছাত্র-যুব সংগঠন। ভোটের আগে সংহতি দিবসের কর্মসূচিতে নেতৃত্ব গোটা দলকেই রাখতে চাইছেন শীর্ষ নেতৃত্ব।’’
বরাবর এই দিনটি পালন করছে তৃণমূলের ‘সংখ্যালঘু সেল’। এ বার সেই দায়িত্ব ছাত্র-যুব সংগঠনকে বেশি করে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদারের কথায়, ‘‘এর সঙ্গে নির্বাচনের কোনও সম্পর্ক নেই। দল মনে করেছে, ছাত্র-যুব সংগঠনের আয়োজনে সুবিধা হবে। তাই তাদের হাতে দেওয়া হয়েছে।’’
