তৃণমূল-সহ বিরোধীদের তীব্র আপত্তি এবং বিরোধিতার মধ্যেই শুধুমাত্র সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে লোকসভায় জিরামজি বিল পাশ করিয়ে নিল মোদি সরকার। বৃহস্পতিবার দুপুরে কেন্দ্রের এই নতুন বিল নিয়ে আলোচনা শুরু হতেই প্রতিবাদে সুর চড়ায় বিরোধীরা। তাদের দাবি ছিল, এই বিলটি পর্যালোচনার জন্য যুগ্ম সংসদীয় কমিটি বা স্ট্যান্ডিং কমিটিতে পাঠানো হোক। পরে বিল প্রত্য়াহারেরই দাবি জানায় তারা। শাসক দলের সাংসদরা রাজি না হওয়ায় বিক্ষোভ দেখিয়ে ওয়াক আউট করে বিরোধীরা। এরপরই ধ্বনি ভোটে পাশ করানো হয় এই বিল। এরপরে রাজ্যসভায় এই বিল নিয়ে তর্ক শুরু হয়। রাত ১২টা পর্যন্ত সেই তর্ক-বিতর্ক চলে। রাত ১২টা ১৫ মিনিট নাগাদ ধ্বনি ভোটে রাজ্যসভাতেও এই বিল পাশ হয়ে যায়।
advertisement
বুধবার লোকসভায় বিলটি পেশ হওয়ার পরেই তৃণমূলের তরফে প্রতিবাদ জানানো হয়। গভীর রাত অবধি আলোচনা-বিতর্ক টেনে নিয়ে যাওয়ার পর কেন্দ্রীয় সরকার বৃহস্পতিবারই বিলটি পাশ করিয়ে নেয় শুধুমাত্র সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভরসায়। তার আগে থেকেই লোকসভায় অগণতান্ত্রিক জিরামজি বিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে ফেটে পড়ল তৃণমূল কংগ্রেস৷ দফায় দফায় ধরনা প্রদর্শন করেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরা। প্রথমে সভাকক্ষে, পরে সংসদ পরিসরে গান্ধী মূর্তির সামনে জমায়েত হয়ে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল সাংসদেরা৷ বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন দলের লোকসভার মুখ্য সচেতক কাকলি ঘোষ দস্তিদার, ডেপুটি লিডার শতাব্দী রায়, জুন মালিয়া, বাপী হালদার, মিতালি বাগ, অসিত মাল, অরূপ চক্রবর্তী, মহুয়া মৈত্র-সহ অন্য সাংসদেরা৷ হাতে ছিল কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর ছবি৷ তৃণমূল সাংসদদের ক্ষোভ, যেভাবে মোদি সরকার মনরেগা প্রকল্পকে খারিজ করে মহাত্মা গান্ধীর নাম মুছে ফেলে নতুন গ্রামীণ রোজগার প্রকল্প চালু করেছে, তা পুরোপুরি অসাংবিধানিক এবং অনৈতিক পদক্ষেপ, বিশেষত প্রকল্প থেকে মহাত্মা নাম মুছে ফেলে আসলে কবিগুরুকে অপমান করেছে মোদি সরকার।
এর আগে সরকার জিরামজি বিল পাশ করানোর পরে সংসদ পরিসরে বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করেছিল বিরোধী শিবির৷ এই বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণ করেছিলেন তিন তৃণমূল সাংসদ অসিত মাল, মিতালি বাগ এবং প্রকাশ চিক বরাইক৷ যব তক সুরজ চাঁদ রহেগা গান্ধী তেরা নাম রহেগা— স্লোগান-সহ সংসদ পরিসরে প্রতিবাদ মিছিল করেন সাংসদেরা।
