রবীন্দ্র সদনে অনুষ্ঠিত হল 'সহজিয়া উৎসব'... সম্মানিত হলেন রঞ্জন প্রসাদ, মনসুর ফকির
- Published by:Rachana Majumder
- news18 bangla
Last Updated:
সেদিনের অন্যতম আকর্ষণ ছিল সহজিয়ার প্রাণপুরুষ দেব চৌধুরীর নির্দেশনায় 'সহজ সুরের পাঠশালা'র পরিবেশনায় 'ভবময়ীর রূপ দেখিয়া' এবং ‘একবার নাচো নাচো গো শ্যামা’র সঙ্গে কান্দি মুর্শিদাবাদ থেকে আসা অঘোরী নৃত্য। সমাজের মূল ধারার সমান্তরালে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর শৈব উপাসনাই গাজন, যার একটা আংশিক নৃত্য উপস্থাপনা বাংলার কিছু অঞ্চলে অঘোরী নৃত্য নামে পরিচিত। এই নাচ কিন্তু অঘোরী সাধনার সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়।
advertisement
1/6

সম্প্রতি কলকাতার রবীন্দ্র সদনে অনুষ্ঠিত হল 'সহজিয়া উৎসব ২০২৫'। হ্যারি বেলাফন্টের 'জামাইকান ফেয়ারওয়েল' এর বিখ্যাত বাংলা অনুবাদ 'পথের প্রান্তে ওই সুদূর গাঁয়ে'র গীতিকার-গায়ক, নগর বাউল রঞ্জন প্রসাদ এবং ফকিরি সাধক-গায়ক কিংবদন্তিসম মনসুর ফকির এবারের 'সহজিয়া সম্মান' পেলেন।
advertisement
2/6
প্রতিবারের মতো এবারেও এই উৎসবের মঞ্চ হয়ে উঠেছিল নাগরিক ও গ্রামীণ শিল্পীদের এক মহামিলনক্ষেত্র। শুরুতেই গৌর বন্দনা দিয়ে উৎসবের সুর বেঁধে দেন মনসুর ফকির। এরপর গৌতমদাস বাউল পরিবেশন করেন 'মুর্শিদ খোলো খোলো দোর'। এই অস্থির সময়ে 'সহজিয়া উৎসব'এর মঞ্চ দেখিয়ে দিলো জাত-পাত-ধর্ম ও বর্ণের উর্ধে উঠে একজন মুসলিম ফকির বন্দনা করেন গৌরসুন্দরের আর একজন সনাতনী বাউল তার গানের মধ্যে দিয়ে নবী-মুর্শিদের ভজনা করেন।
advertisement
3/6
এই উৎসব ক্যাকটাসের সিধুর মতো রক স্টারকে দিয়ে গাইয়ে নেয় 'কিছুদিন মনে মনে', জয়তী চক্রবর্তী পরিবেশন করেন লালন ফকিরের 'বাড়ির কাছে আরশিনগর', মুম্বাই থেকে আগত ঋতিকা সাহানী ও পিলু বিদ্যার্থী যুগ্মভাবে গেয়ে ওঠেন 'দিলো না দিলো না'। শিশু শিল্পী তানি-মুনি ও হৃদিস্রোতার পরিবেশনায় 'প্রাণ সখী হে' ও 'আমার হাত বান্ধিবি' সবার মন ছুঁয়ে যায়। গুরু স্থানীয় শুভেন্দু মাইতি, স্বপন বসু, রিনা দাসী থেকে এই প্রজন্মের গাবু, অর্কদীপ সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে হাজির এই প্রাণের উৎসবে।
advertisement
4/6
সেদিনের অন্যতম আকর্ষণ ছিল সহজিয়ার প্রাণপুরুষ দেব চৌধুরীর নির্দেশনায় 'সহজ সুরের পাঠশালা'র পরিবেশনায় 'ভবময়ীর রূপ দেখিয়া' এবং ‘একবার নাচো নাচো গো শ্যামা’র সঙ্গে কান্দি মুর্শিদাবাদ থেকে আসা অঘোরী নৃত্য। সমাজের মূল ধারার সমান্তরালে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর শৈব উপাসনাই গাজন, যার একটা আংশিক নৃত্য উপস্থাপনা বাংলার কিছু অঞ্চলে অঘোরী নৃত্য নামে পরিচিত। এই নাচ কিন্তু অঘোরী সাধনার সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়।
advertisement
5/6
ওই সাধনার শুধুমাত্র বহিঃরঙ্গকে উপজীব্য করে একধরনের নাট্যধর্মী পরিবেশনা এই অঘোরী নৃত্য। সহজিয়া উৎসব এক অন্য মাত্রায় পৌঁছোয় যখন রঞ্জন প্রসাদকে শ্রদ্ধা জানিয়ে পূর্ণ প্রেক্ষাগৃহের সবাই গেয়ে ওঠে 'পথের প্রান্তে ওই সুদূর গাঁয়, যেথা সময় থমকে থাকে বটের ছায়'।
advertisement
6/6
প্রধান অতিথি হিসেবে তখন মঞ্চে উপস্থিত জি-বাংলা সারেগামাপা-র নির্দেশক, চিত্র পরিচালক শ্রী অভিজিৎ সেন এবং রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিশিষ্ট আধিকারিকেরা। অতিথিদের কথাতেও বারবার অণুরণিত হল সেই সহজিয়া সুর আর ভাব, উৎসবের শেষ অঙ্গ ‘মিলন’ শেষেও যার রেশ থেকে যায় রবীন্দ্রসদন নন্দন প্রাঙ্গণে আর আমাদের সবার মনে।