শুক্রবার সকাল এগারোটা নাগাদ পরীক্ষামূলকভাবে বাইপাসের পাশে ডিসান হাসপাতালের ছাদে নামবে এই হেলিকপ্টার। তাই সেই ছাদে তৈরি করা হয়েছে হেলিপ্যাড। শুক্রবার ওই ছাদে উপস্থিত থাকবেন ডিজিএসিএ’র প্রতিনিধিদল। ডিজিএসিএ’র অনুমতি ছাড়া কোনও অসামরিক বিমান বা হেলিকপ্টার উড়তে পারে না। এটাই নিয়ম। হাসপাতালের ছাদে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স নামানোর জন্য বেশ কিছু নিয়ম মানতে হয়, যার মধ্যে থাকে, হেলিপ্যাড যেন সব দিক থেকে দেখা যায়। যদি জনবহুল এলাকায় হয়, সেখানে যেন প্রশস্ত রাস্তা থাকে। হেলিপ্যাড যেন প্রতি মুহূর্তে পরীক্ষা করা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: শুধু সইফ নয়, টার্গেট শাহরুখও! একই হামলাকারী রেইকি করে ‘মন্নত’-এও, চাঞ্চল্যকর দাবি পুলিশের
এছাড়া যে সংস্থা পরিষেবা দেবে, তারা যেন ডাবল ইঞ্জিন হেলিকপ্টার ব্যবহার করে। পাইলট দু’জন থাকলে ভালো হয়। জনবহুল এলাকায় হেলিকপ্টার নামানোর জন্য যথাযথ অভিজ্ঞতা যেন থাকে। কোনও এলিভেটেড হেলিপ্যাডে হেলিকপ্টার ওঠা-নামা করলে সেখানে ভালোরকম অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা থাকতে হয়। সেটিও যেন বজায় থাকে। এই সব কিছু দেখেই তবে DGCA অনুমতি দেয় এয়ার অ্যাম্বুলেন্সকে হাসপাতালের ছাদে নামার। ওই বেসরকারি হাসপাতাল সূত্রে খবর, ছাদে হেলিপ্যাড গড়ে তোলার এই ভাবনাকে বাস্তবে রূপায়িত করতে গত চার বছর ধরে কাজ করেছেন তারা।
আরও পড়ুন: ট্রেনে যাচ্ছিলেন ৫৭০১১৪ যাত্রী, প্রত্যেকের হল মোটা অঙ্কের জরিমানা! কেন জানেন?
ত্রিপুরা-সহ নানা রাজ্য, এমনকি প্রতিবেশী দেশ থেকে নিয়মিত রোগীরা যাতায়াত করেন। সেক্ষেত্রে কোনও ইমার্জেন্সি পরিস্থিতি তৈরি হলে কাজ করবে এই এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। অত্যন্ত কম সময়ে হাসপাতালে পৌঁছতে ব্যবহার হবে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। সরাসরি হাসপাতালে এসে নামতে পারলে দ্রুত চিকিৎসাও মিলবে। সময় বাঁচানো এবং রোগীকে বাঁচাতেই এমন পদক্ষেপ করা হচ্ছে। এছাড়া সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে হায়দ্রাবাদ থেকে ফায়ার ফাইটিং টিমকে প্রশিক্ষণ দেওয়ানো হয়েছে। তারাই কাজ করবে হেলিপ্যাডে।
আবীর ঘোষাল