৩রা জানুয়ারি নিউ ব্যারাকপুরে সুজন চৌধুরী(৪৩) শ্বাসকষ্ট এবং কাশির সঙ্গে রক্ত ক্ষরণ নিয়ে ওই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন।সুজন বাবুর শারীরিক অবস্থা বেশ জটিল ছিল।ডাক্তারবাবুরা তার শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানতে পারে তাঁর হৃদপিন্ডের 'টাইপ বি অর্টিক নার্ভ' ছিঁড়ে গেছে।সেখান থেকে রক্ত ক্ষরণ হচ্ছে।ওই নালিটি ১০০ শতাংশ ব্লক ছিল।অবস্থা এতটাই গুরুতর ছিল যে,সঙ্গে সঙ্গে অপারেশনের সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল ডাক্তারদের।
advertisement
আরও পড়ুন: সদ্যোজাত সন্তান আর স্ত্রীকে খুনের ফন্দি, কীটনাশক মেশানো মিষ্টি নিয়ে এল বাবা
অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়ার পর ফুসফুস ও হৃদপিণ্ড একটি কৃত্রিম মেশিনের সঙ্গে যুক্ত করে দেন চিকিৎসকরা। শুধু তাই নয়, হৃদপিন্ডের যে নালিটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল,সেটিতেও একটি কৃত্রিম নালির প্রতিস্থাপন করেন তাঁরা। অপারেশনের সময় হৃদপিণ্ডটিকে তিন ঘন্টা যাবত স্থবির করে রাখা হয়েছিল।একটি মেশিনের দ্বারা হার্ট এবং ফুসফুসকে ৭ ঘন্টা ধরে চালিত রেখেছিল।অবশেষে সুজন চৌধুরীর অপারেশন সফল হয়। এই বিষয়ে আর এন টেগোর হাসপাতালের কার্ডিয়াক সার্জেন অতনু সাহা বলেন, ' অর্টিক্ ডিসেকশন একটি খুব জটিল বিষয় এবং এই রোগীর জন্য এটি আরও বেশি জটিল ছিল।এটি একটি 'টাইপ বি ডিসেকশন' ছিল।তবে খুব তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত নেওয়ার ফলে প্রয়োজনীয় সাপোর্টে রোগীর অপারেশন সফলভাবে করা গিয়েছে।'
আরও পড়ুন: ভালবাসার টানে আয়ারল্যান্ড থেকে সুন্দরবনে চলে এসেছেন এক তরুণী
নিউ ব্যারাকপুর এলাকার বাসিন্দা সুজন চৌধুরী। গত৬ মাস আগে তাঁর মোটর বাইক দুর্ঘটনা হয়েছিল।সে সময় তিনি আহত হয়েছিলেন।তবে তার সঙ্গে এই টাইপ বি ডিসেকশন এর কোন সম্পর্ক নেই। প্রতিটি মানুষের হৃদপিন্ডের টাইপ ওয়ান ধমনীটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়।এক্ষেত্রে টাইপ বি ক্ষতিগ্রস্থ হওয়াটা বেশ আশ্চর্য্য লেগেছে ডাক্তারদের কাছে।এটাও ডাক্তার অতনু সাহার কাছে একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল বলে দাবি হাসপাতাল কতৃপক্ষের। তবে রোগী আস্তে আস্তে স্বাভাবিকের দিকে আসছে। দাবী ডাক্তারদের।