বুধবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ বাড়ির বাইরে আসেন দীপকবাবু। তিনি বুঝে উঠতে পারেননি গেটের সামনে জমা জলের মধ্যে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়ে রয়েছে। সেই তারে পা লাগতেই তড়িদাহত হন তিনি। সঙ্গে সঙ্গেই মৃত্যু হয় তাঁর।
উল্লেখ্য গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে জল জমে রয়েছে কলকাতা এবং শহরতলির আনাচকানাচে। সেই জমা জলের বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। মঙ্গলবারই খড়দহের পাতুলিয়া অঞ্চলে বাড়িতে জমা জলে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে ছিলেন বাবা-মা ও সন্তান।
advertisement
আরও পড়ুন-পরিযায়ী শ্রমিক বোঝাই বাস নয়ানজুলিতে! মর্মান্তিক দুর্ঘটনা রায়গঞ্জে, নিহত ৬ শ্রমিক, আহত বহু...
আবার বুধবারেও মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে দমদমে। দক্ষিণ দমদম এর নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শ্রেয়া বণিক এবং অনুষ্কার নন্দী রাস্তায় বেরিয়ে খেলাচ্ছলেই ল্যাম্পপোস্ট ছুঁয়েছিল কিছুক্ষণের মধ্যেই ষষ্ঠশ্রেণির দুই পড়ুয়ার মৃত্যু হয়। এই মর্মান্তিক ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে আসে গোটা এলাকায়। একই সঙ্গে ক্ষোভ উগরে দেয় এলাকার বহু সাধারণ মানুষ। সিএসসি এই ঘটনার দায় নিতে চায়নি। তাদের বক্তব্য় রাস্তার পোস্টে বিদ্যুৎ সংযোগের দায়িত্বে থাকে পুরসভা। কিন্তু এই দড়িটানাটানি মধ্যে যে সাধারণ মানুষের প্রাণ বিপন্ন তা অস্বীকার করছেন না কেউই।
জমা জলে বিপদ এড়াতে কী কী সাবধানতা নেবো-
গত কয়েক দিনের ঘটনা চোখ খুলে দিয়েছে। এখনই বিদ্যুতের বিষয়ে সাবধান হতে হবে। আবাসনে বা বাড়িতে, যেখানে ফিডার বক্স থাকে সেখানে জল জমলে দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থাকে খবর দিতে হবে।
জলের পাম্প যেখানে থাকে সেখানে জল থাকলেও সর্তকতা নিতে হবে। কোনও ভাবেই জল না নামলে পাম্পের সুইচ দেওয়া চলবে না।
ঘরের জল জমে আছে এই অবস্থায় বিদ্যুতের তারে হাত দেবেন না।
ঘরের জল জমা থাকলে তার মধ্যে দাঁড়িয়ে মোবাইল চার্জ ও দেবেন না।
যতক্ষণ বাড়িতে জল জমে থাকবে, সবথেকে ভালো হয় যদি বাড়ি বিদ্যুৎহীন রাখা যায়।
আপৎকালীন পরিস্থিতিতে সাহায্য প্রয়োজন হলেই বিদ্যুৎ বিল থেকে নম্বর নিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থায় খবর দিন।
Reporter -Arun Ghosh