বিশেষত রাজ্যের যেগুলি মূলত চাইল্ড হাব সেগুলি তাঁরা পরিদর্শন করছেন বলেই জানা গিয়েছে। প্রয়োজনে বিভিন্ন পরামর্শ তাঁরা রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরকে দেবেন। অন্যদিকে, রবিবার রাজ্যের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য রাজ্যে যথোপযুক্ত পরিকাঠামোর ব্যবস্থা রয়েছে। ইতিমধ্যেই আড়াই হাজারেরও বেশি "সিক মেটাল কেয়ার ইউনিটস" বা এসএনসিইউ বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি, ৬৫৪ টি পেডিয়াট্রিক ইনটেন্সিভ কেয়ার ইউনিট বা পিকু বেডের ব্যবস্থা রয়েছে। ১২০ টি নিওনেটাল কেয়ার ইউনিট বা এনআইসিইউ বেডেরও ব্যবস্থা রয়েছে রাজ্যজুড়ে।
advertisement
আরও পড়ুন: শিশুমৃত্যু অব্যাহত, ফের ফুলবাগানের হাসপাতালে অ্যাডিনোভাইরাসে প্রাণ গেল একরত্তির
এরই সঙ্গে বিসি রায় হাসপাতালে আরও ৭৫টি পেডিয়াট্রিক ইনটেন্সিভ কেয়ার ইউনিট বা পিকু বেড বাড়ানো হয়েছে। বিসি রায় হাসপাতালে সিনিয়র চিকিৎসকদেরও পাঠানো হয়েছে পরিস্থিতি সামলানোর জন্য বলে রবিবারই বিবৃতি দেওয়া হয়েছিল রাজ্যের তরফে। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও গত সপ্তাহে স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে এই পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা করেছেন বলেই জানা গিয়েছিল।
আরও পড়ুন: কলকাতার নয়া ত্রাস অ্যাডিনোভাইরাস, বিপদে শিশুরা! বিশেষ নির্দেশিকা জারি পুরসভার
মুখ্য সচিব ও বিভিন্ন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গেও এই বিষয় নিয়ে পর্যালোচনা করেছেন। ইতিমধ্যেই এই ভাইরাস মোকাবিলায় কী ভাবে রাজ্য সরকার কাজ করবে তার জন্য অ্যাডভাইজারিও জারি করা হয়েছে রাজ্যে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে। ২৪ ঘন্টা কন্ট্রোল রুমও চালু করা হয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের। আর এবার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের দলও বিভিন্ন হাসপাতালে হাসপাতালে নজরদারি করবে, চিকিৎসাব্যবস্থা কেমন হচ্ছে তা দেখার এবং পাশাপাশি রাজ্যকে পরামর্শ দেবে বলেও জানা গিয়েছে। যদিও স্বাস্থ্য দফতরের দাবি পেডিয়াট্রিক বিভাগের চিকিৎসকদের নিয়ে ইতিমধ্যেই একটি দল রয়েছে। তাঁদেরকে বিভিন্ন হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজে পরিদর্শনের কথা বলা হয়েছে বলেই দাবি রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়