অপরদিকে, বারাসতের নবপল্লির বাসিন্দা এক শিশু, বয়স ছিল মাত্র চারদিন। গত রবিবারই ভূমিষ্ঠ হয় এই শিশু। জন্মের পর থেকেই শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা শুরু হয়েছিল তার। রবিবার রাতেই বারাসতের ওই বেসরকারি হাসপাতাল থেকে বি সি রায় হাসপাতালে রেফার করে দেওয়া হয় ওই শিশুকে। বুধবার ভোর ৪ টে বেজে ৫৫ মিনিটে ওই শিশুর মৃত্যু হয়। এই শিশুর ডেথ সার্টিফিকেটেও মৃত্যুর কারণ হিসাবে নিউমোনিয়াকে উল্লেখ করা হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: ফের ভাইরাস-আতঙ্ক! জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট! এক্কেবারে করোনার মতো, বাচ্চাদের সামলে..
এদিকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালেও দুই শিশুর মৃত্যুর খবর জানা গিয়েছে। হুগলির মাত্র ৭ মাসের শিশু ভর্তি ছিল ইমামবাড়া হাসপাতালে। জন্মগত ভাবে তার হৃদযন্ত্রে সমস্যাও ছিল। কিন্তু গত কিছুদিন ধরেই জ্বর এবং শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছিল সে। এদিন সকালেই মৃত্যু হয়েছে তার।
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে অ্যাডিনোভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে মাত্র ২২ দিন বয়সি একটি শিশুর। উলুবেড়িয়া থেকে রেফার হয়ে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে আসা হয়েছিল শিশুটিকে। এই শিশুটির ক্ষেত্রে অ্যাডিনোভাইরাসের পরীক্ষা করানো হয়েছিল এবং সেই পরীক্ষার রিপোর্ট পজেটিভ আসে। বুধবার সকালে মারা যায় শিশুটি।
অ্যাডিনো আতঙ্ক ছড়িয়েছে জলাতেও। বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়ায় অ্যাডিনো আক্রান্ত রোগীর খোঁজ।
রাজ্যে ক্রমশ চেপে বসছে অ্যাডিনো ভাইরাসের আতঙ্ক। গত কয়েকদিনে এই নিয়ে ১৪ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে কলকাতার বিভিন্ন হাসপাতালে। তার মধ্যে মঙ্গলবার সকালেই আরও তিন শিশুর মৃত্যুর খবর সামনে আসে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ময়দানে নামতে হয়েছে খোদ মুখ্যমন্ত্রীকে। মঙ্গলবার স্বাস্থ্যসচিবের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেছেন তিনি। সূত্রের খবর, বৈঠকে মমতা খোঁজ নিয়েছেন হাসপাতালগুলিতে পর্যাপ্ত সংখ্যক বেড আছে কি না। শিশুদের চিকিৎসায় এবং সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে যাতে কোনও রকমের গাফিলতি না করা হয়, তা নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন তিনি। জেলার হাসপাতালের রেফার রোগ নিয়ে কড়া অবস্থান নিয়েছেন।
