মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরে এবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাধীনতা দিবসের শুরুতেই ফেসবুক লাইভে আসেন তিনি। রাত ১২টায়। এর আগে অবশ্য তিনি একটি ট্যুইট করেছিলেন। নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক লেখেন, “আসুন, একটু ভেবে দেখি। আমরা এই দেশের বাসিন্দা। আমাদের সংস্কৃতি, উৎসব, পোশাক এবং রীতি সবই আলাদা। কিন্তু আমরা ঐক্যবদ্ধ, কী ভাবে? উত্তরটা হল, মাতৃভূমির প্রতি আমাদের টান। দেশের প্রতি এই টানই আমাদের ঐক্যবদ্ধ করে রেখেছে।”
advertisement
তিনি আরও লেখেন, “ভারতের প্রতি আমাদের টানই শক্তিশালী করেছে আমাদের। প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, এই পবিত্র সংযোগ আমরা আরও মজবুত করব। আমরা চাই, ভারতবাসী এই নিয়ে তাঁদের মতামত আমাদের সঙ্গে ভাগ করে নিন। এই দেশের সঙ্গে কী জুড়ে রেখেছে আপনাদের?’’এরপর ফেসবুক লাইভে এসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা, অভিষেক বলেন, দেশের স্বাধীনতার ৭৫ বছরে ভাবতে হবে যে বিভেদ-বিচ্ছেদ-হিংসার পরিস্থিতি গত কয়েক বছর ধরে ছড়াচ্ছে আগামী দিনেও সেই পরিস্থিতি আপনারা চান কি না। না কি এই পরিস্থিতির পরিবর্তন চান?
অভিষেকের মতে, দেশজুড়ে যারা বিভেদের, হিংসার, অবিশ্বাসের, দমনের বিষ ছড়াচ্ছে তাদের উপড়ে ফেলতে হবে। এই স্বাধীনতা দিবসেই দেশ থেকে বিজেপিকে হটানোর ডাক দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
আরও পড়ুন-‘OK’ শব্দের উৎপত্তি কীভাবে ? কারণ জানলে অবাক হবেন
তৃণমূল সাংসদ প্রশ্ন তোলেন, ভেবে দেখুন তো সত্যি আপনারা কি বাক স্বাধীনতা পান? নিজের ইচ্ছে মতো খাওয়া-দাওয়া, পোশাক পরার বা মত প্রকাশের স্বাধীনতা পান? এই ভারতেরই কি স্বপ্ন দেখেছিলেন নেতাজি, গান্ধীজি, লালবাহাদুর শাস্ত্রী, মাতঙ্গিনী হাজরারা! দেশের জন্য যাঁরা আত্মবলিদান দিয়েছেন, তাঁরা কি এই ভারতের কল্পনা করেছিলেন?তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের ভাষা, ভাবনা, রুচি, পছন্দ আলাদা। কিন্তু আমরা সবাই এক সূত্রে বাঁধা। এটাই ভারতের ঐতিহ্য। তবে, ভারতের সেই অখণ্ডতায় আঘাত আসছে। অভিষেকের মতে, আমরা গর্বিত। স্বাধীনতার জন্য আমাদের পূর্বপুরুষরা বীরত্বের সঙ্গে লড়াই করেছেন। একটি জাতি যা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের উপর নির্মিত হয়েছিল। আমরা যখন ভারতের স্বাধীনতার ৭৫তম বছর উদযাপন করছি। আসুন আমরা তার উন্নত ভবিষ্যতের জন্য সংগ্রাম করার এবং আমাদের মাতৃভূমির গৌরব নিয়ে আসার শপথ নিই।