দুর্গাপুরের অধিবেশন থেকে তিনি বলেন, ‘‘নেত্রী ফোন করেছিলেন। উনি বললেন, আবহাওয়া খুব খারাপ, কর্মসূচি দু-এক দিন বাদে করতে। আর তোমার গলা ভেঙে গিয়েছে, শরীর খুব খারাপ, কয়েকদিন বিশ্রাম নাও। কিন্তু নেত্রীকে আমি বললাম, রাজনীতির ছাত্র হিসেবে যেটা শিখছি, তা আরও শিখতে চাই। তৃণমূলে নবজোয়ার এখন জনজোয়ারে পরিণত হয়েছে।’’
আরও পড়ুন: সরকারি চাকরি নিয়ে বড় দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কী বললেন রোজগার মেলায়?
advertisement
আর এরই রেশ টেনে আরও একবার দলের কর্মীদের সতর্কও করেন অভিষেক। তিনি বলেন, ‘‘নিজের রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে নয়। আশি বছর আগে একজন বলেছিল, দিল্লি চলো৷ তিনি লড়াই না করলে ইংরেজ সরকার সরত না। আর আজ এক মহিলা বলছেন আশি বছর পরে দিল্লি চলো। রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে নয়৷ তিনি মানুষের অধিকার চাইতে যেতে বলছেন। কাজে মন দিন। কে বিরোধিতা করল। কে কী করল, বলল তাতে মন দেবেন না৷’’
সম্প্রতি কয়েকজনের কাজ নিয়ে ইতিমধ্যেই অভিযোগ জমা পড়েছে৷ সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘কে আপনি কেউকেটা? পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ হয়েছেন বলে বড় ব্যাপার হয়ে গেছেন? বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বুথে বুথে ঘুরছেন। দুয়ারে সরকার নিয়ে যাচ্ছেন৷ আর পঞ্চায়েত প্রধানের অফিসে গেলাম, তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করেও দেখা পেলাম না৷ ফোন করলে পায় না। এই সবের মেয়াদ তাই তিন মাস।’’
আরও পড়ুন: কখনও কি করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন? তাহলে ভুলেও করবেন না এই সমস্ত কাজ, হতে পারে ভয়ঙ্কর বিপদ
ফের নির্দল নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি৷ তিনি বলেন, ‘‘যদি ভাবেন ভোটের সময় কাজ করব না৷ নির্দল হয়ে দাঁড়িয়ে যাব৷ আবার ভোটের পরে কলকাতার কোনও নেতাকে ধরে ঢুকে যাব। তা হবে না। তাকে আমার মৃতদেহের ওপর দিয়ে ঢুকতে হবে। যে তৃণমূল কংগ্রেস নিজের জীবনকে বাজি রেখে সিপিএমকে উৎখাত করেছিল। আগামী দিনে সেই তৃণমূল দলের জন্য কাজ করবে। সেটাই নতুন তৃণমূল। যেটা আমি বারবার বলি, বলে জানিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।