বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়িয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন তোলেন, ‘‘যারা ১০ কোটি বাঙালিকে অপমান করেছে, তাদের কি প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার সাহস আছে?’’
বিজেপির বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘‘যারা বাংলাকে অনুপ্রবেশকারীদের আঁতুরঘর বলে বদনাম করেছিল এবং এক থেকে দেড় কোটি রোহিঙ্গার গল্প ফেঁদেছিল, স্বয়ং নির্বাচন কমিশনই আজ তাদের সেই দাবি খারিজ করে দিয়েছে।’’
advertisement
পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘‘যেকোনও ক্ষেত্রেই যখন SIR হয়, তখন ১.৫% থেকে ২% নাম বাদ যায়। এবারও মৃত হিসেবে চিহ্নিত যে ২৪ লক্ষ নাম বাদ গিয়েছে, তা জনসংখ্যার প্রায় ২ শতাংশ। বিজেপি নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করে বাংলায় যে চক্রান্ত করতে চেয়েছিল, তা সম্পূর্ণ ব্যর্থ। যারা বাংলাকে ‘বাংলাদেশিদের আঁতুরঘর’ বলে অপমান করেছে, তাদের জনসমক্ষে এসে বাংলার ১০ কোটি মানুষের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত।’’
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নিশানা করে অভিষেক বলেন, ‘‘যদি অনুপ্রবেশে সত্যিই সমস্যা হয়ে থাকে, তবে এর জবাবদিহি করতে হবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে, কারণ সীমান্ত পাহারা দেওয়া এবং সিআরপিএফ-এর নিয়ন্ত্রণ তাঁর হাতেই।’’
তিনি আরও বলেন, “বাংলার কথা ছাড়ুন, পহেলগাঁওয়ে কী ঘটেছে দেখুন। কাশ্মীর পুলিশের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তো কোনও সম্পর্ক নেই। তাহলে সেখানে অনুপ্রবেশকারীরা ঢুকছে কী করে? দিল্লিতে, গত ১১ নভেম্বর বিহার নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার ঠিক আগেই বিস্ফোরণে মানুষের মৃত্যু হল, তার দায় কার? যারা বাঙালিদের অনুপ্রবেশকারী তকমা দেয়, হেনস্থা করে, নির্বাসিত করে, এমনকি বাংলা ভাষাকে অস্বীকার করে, তারা বাঙালিদের উপর সুপরিকল্পিত নির্যাতন চালাচ্ছে। সোনালি খাতুন, যার বাবা-মায়ের নাম ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় থাকা সত্ত্বেও তাঁকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপের পরই তাঁকে দেশে ফেরানো সম্ভব হয়েছে। দু’দিনের মধ্যে আমি তাঁর ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করব। আমরা আগাগোড়াই তাঁদের পাশে ছিলাম এবং আমি স্পষ্ট বলতে চাই, অন্য কেউ যদি এমন হেনস্থার শিকার হন, তবে জানবেন তৃণমূল কংগ্রেস আপনাদের পাশে আছে।’’
