এর পরেই প্রশ্ন আসে, পঞ্চায়েত ভোট তা হলে শেষ পর্যন্ত কখন হবে৷ অভিষেক বলেন, ‘‘সেটা তো রাজ্য নির্বাচন কমিশন ঠিক করবে৷ তবে তৃণমূল তৈরি৷ কালকে যদি নির্বাচন হয় তৃণমূল তৈরি৷ আমাদের পঞ্চায়েত ভণ্ডুল করে ব্যালট বক্স পুকুরে ফেলতে হবে না৷ ’’
সম্প্রতি তৃণমূলের মঙ্গলকোটের বিধায়ক প্রকাশ্য সভায় বলেছেন, গতবার যে ভাবে পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছিল, এ বারও সেভাবেই হবে৷ সেই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় অভিষেক বলেছেন, ‘‘হবে না৷ আমি এখানে দাঁড়িয়ে বলছি হবে না৷ যত দম থাকুক, প্রয়োগ করে দেখাক, স্বচ্ছ ও অবাধ নির্বাচন হবে৷ সেই বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর তরফ থেকে প্রশাসনকে দেওয়া হয়েছে৷ যদি কোথাও কোনও বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটেও, তা হলে পুলিশ-প্রশাসন কড়া ব্যবস্থা নেবে৷ যদি কেউ ভাবে যে এলাকায় পঞ্চায়েত দখল করবে, পারবে না, কোনও দল করতে পারবে না৷ কোনও দলের ক্ষমতা নেই৷’’
advertisement
আরও পড়ুন: ছাত্র পড়াতেই ব্যস্ত টেট তালিকায় থাকা দিলীপ ঘোষ, বিতর্কে জড়াতে নারাজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
আরও পড়ুন: ‘আমার জন্মও মাটির বাড়িতে’, আদিবাসী গ্রামের বাসিন্দাদের খোঁজ নিয়ে বললেন মমতা
নতুন তৃণমূল প্রসঙ্গে আরও স্পষ্ট করে অভিষেকের মত, ‘‘আমরা প্রতি পদক্ষেপে চেষ্টা করছি৷ আপনারা দেখেছেন, আমরা কারওর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ হলে, কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছি৷ যেমন রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানকে নিয়ে একটি অভিযোগ আমাদের কাছে এসেছিল৷ এ ছাড়া দাঁইহাটের পুরসভার অভিযোগ আসার পর দল ব্যবস্থা নিয়েছে৷ এরকম পঞ্চায়েত স্তরে একাধিক অ্যাকশন আমরা নিয়েছে৷ আমরা ব্লক বা টাউনের দায়িত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রেও যাঁদেরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তাঁদের নামে যদি কোনও অভিযোগ থাকে, তাঁদেরকে আমরা রাখিনি৷ কার লোক, কত পুরনো, কত নতুন, কত দক্ষ আমরা দেখিনি৷ কে কাজ করতে পারে, উন্নয়ন কী ভাবে সুনিশ্চিত করা যায়, সেটাই আমরা দেখেছি৷ এটাই নতুন তৃণমূল৷’’
তিনি এ দিন বলেন, ‘‘নতুন তৃণমূল মানে মানুষকে অগ্রাধিকার দেওয়া৷ নতুন তৃণমূল মানে আমার বয়স খুব অল্প, নতুন দলে এসেছি, মানে আমি নতুন তৃণমূল, এমনটা নয়৷ নতুন, পুরনো মিলিয়ে থাকা তৃণমূল৷ নতুন তৃণমূল মানে সেই দল, যাঁরা সিপিএম নামক জগদ্দল পাথরকে বাংলা থেকে সরিয়েছিল৷ মানুষকে অগ্রাধিকার দিয়ে যে মাঠে ময়দানে লড়বে, সেটাই নতুন তৃণমূল৷ সেই লক্ষ্যেই অবিচল থেকে এগিয়ে যাওয়া৷ শেষ চারমাসের ঘটনা যদি দেখেন, তা হলে দেখবেন, অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ হলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে৷ তৃণমূল দল যদি মহাসচিবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেন, তা হলে আর কী৷’’