আরও পড়ুন- পারফরম্যান্সই শেষ কথা দলে, ফের কড়া বার্তা অভিষেকের
এছাড়াও রাজ্যের প্রতিটি জেলা, ব্লক, বুথ ধরে নাম ধরে তথ্য দিয়ে সকলকে সতর্ক করেন অভিষেক। উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতার অনেক জায়গায় বিএলএ-২ রেজিস্ট্রেশন করছেন না। ফর্ম ভরা বা সাবমিট করার যে তৎপরতা দরকার সেটাও হচ্ছে না বলে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। যে কারণে সোমবার সকালে নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলে, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে কথা বলে বিশেষ দায়িত্ব দিয়েছেন অভিষেক। মঙ্গলবার উত্তর কলকাতার সাংগঠনিক বৈঠক ডাকা হয়েছে। এই বৈঠক হবে মোহিত মঞ্চে।
advertisement
এদিনের বৈঠকে সতর্ক করে দিয়ে অভিষেক বলেন, যাঁরা মনে করছেন, তাঁদের ভোট হয়ে গিয়েছে তাই অতটা গা না-লাগলেও চলে, তাঁরা ভুল করছেন। পারফরম্যান্সের ভিত্তিতেই দল আপনাদের ভোটের টিকিট দেবে। সাংগঠনিক ভাবে এসআইআর-এর কাজ বেশ ভাল করেছে ধনেখালি, হরিপাল, সিঙ্গুর, করণদিঘি, তারকেশ্বর, বালি, গোয়ালপোখর, রঘুনাথগঞ্জ, চাকুলিয়া ও রায়গঞ্জ। সবথেকে পিছিয়ে বালিগঞ্জ, বনগাঁ দক্ষিণ, বেলেঘাটা, এন্টালি, মধ্যমগ্রাম, কলকাতা পোর্ট, কাশীপুর বেলগাছিয়া, চৌরঙ্গী বিধানসভা।
আরও পড়ুন– বনগাঁয় জোড়া রাজনৈতিক কর্মসূচি মমতার, পিছিয়ে থাকা মতুয়া গড়ে ভাল ফলের আশায় তৃণমূল
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘‘সিনিয়র লিডারদের নিয়ে আমি একটা টিম করছি। জেলার দায়িত্ব দেওয়া হবে তাদের ২৬-৩০ নভেম্বর হয়ে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আগামী ৯ দিন ব্যাগ বস্তা নিয়ে চলে যান। এদের কাজ ওয়ার রুম ভিজিট করা। আমি তাদের সঙ্গে রোজ জেলার রিপোর্ট নিয়ে মিটিং করব।’’ যে সব নেতাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাঁরা হলেন,
ফিরহাদ হাকিম – কলকাতা
অরুপ বিশ্বাস – হুগলি ও দুই বর্ধমান
স্নেহাশিস চক্রবর্তী – কৃষ্ণনগর, রাণাঘাট
মানস ভুইয়া – বাঁকুড়া, পুরুলিয়া
মলয় ঘটক – পশ্চিম মেদিনীপুর
সামিরুল ইসলাম – মালদা ও উত্তর দিনাজপুর
বেচারাম মান্না – পূর্ব মেদিনীপুর
প্রসূন ব্যানার্জি – দক্ষিণ দিনাজপুর
দিলীপ মন্ডল – কোচবিহার
প্রদীপ মজুমদার – পশ্চিম বর্ধমান
সুজিত বোস – বনগাঁ , বসিরহাট, রাণাঘাট
চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য – ঝাড়গ্রাম
উদয়ন গুহ – জলপাইগুড়ি , আলিপুরদুয়ার ঋতব্রত বন্দোপাধ্যায় – মুর্শিদাবাদ
