অভিষেক বলেন, "যেখানে ফল খারাপ হয়েছে৷ সেই সব বুথে আমাদের ঢুকতে হবে। আগামী দু-মাসে কর্মসূচী নিতে হবে। ২১ জুলাই-এর জন্য যখন যাবেন রিপোর্ট নিয়ে যাবেন। কে কটা বুথে গিয়েছেন হিসেব চাই আমার। ছবি-সহ আমার রিপোর্ট চাই৷ আমাদের নেতা কর্মীদের কিসের এত ভয়। কেন তারা এলাকায় যাবেন না?"
advertisement
অভিষেক (Abhishek Banerjee) বলেন, "আবার বলছি মানুষের কাছে যান, মানুষের কাছে পৌঁছন। মাথা নত করে যেতে হবে। প্রতি দু'মাস অন্তর আমি আসব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি আজও এই বয়সে মানুষের কাছে যেতে পারেন৷ তাহলে তৃণমূলের কেউ বড় কেউকাটা হয়ে যাননি৷ আর নেতার পেছনে চারটে গাড়ি চলবে না। মানুষ ভোট দিতে চায়। কিন্তু কয়েকটা মুখ দেখে ভোট দিতে চায় না। বড় গাড়ি ছাড়ুন৷ সাইকেলে ঘুরুন। জেলার দায়িত্ব যারা নিয়েছেন তারা সামনে পেছনে পুলিশের গাড়ি নিয়ে ঘোরা বন্ধ করুন।"
আরও পড়ুন : নিজের হাতে বানিয়ে দার্জিলিংয়ে ফুচকা খাওয়ালেন মমতা! পাহাড়ে অন্য মেজাজে মুখ্যমন্ত্রী
'এক ডাকে অভিষেক' এবার আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হল জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারেও। যোগাযোগের নম্বর হল ৭৮৮৭৭৭৮৮৭৭। সকাল ৯'টা থেকে সন্ধ্যা ৬'টা। অভিষেক ধূপগুড়ির সভায় বলেন, "কারও বিরুদ্ধে কোনও খবর থাকলে আমাকে জানাবেন৷ জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েতে যদি কাজ না হয়। ব্লকে অভিযোগ থাকলে আমাকে জানাবেন৷"
সরকারি প্রকল্প নিয়ে বিজেপির কটাক্ষ প্রসঙ্গে এদিন কেন্দ্রের মোদি সরকারের বঞ্চনা প্রসঙ্গে সোচ্চার হন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এদিন ধূপগুড়ির সভায় বলেন, "এরা আসলে বাংলার মানুষকে ভাতে মারতে চায়। সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারী বলছে নাম না পাল্টালে টাকা দিতে বারণ করেছি। তার মানে স্বীকার করেছেন আপনারা টাকা আটকে রেখেছেন। প্রকল্প প্রধানমন্ত্রীর নামে হবে না বাংলার নামে হবে? মুখ্যমন্ত্রী নিজের প্রচার চাইলে প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনাকে, মুখ্যমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা করতেন। বদলে বাংলার নামে করেছেন। সময় দিন নেত্রীকে। উনি বেঁচে আছেন। উনি কাজ করবেন। উনি কেন্দ্রের জন্য হাত পেতে অপেক্ষা করে বসে নেই। উনি বলবেন শীঘ্রই বলবেন।"
