Deoghar Airport: ৬৫৪ একরের বিশ্বমানের দেওঘর বিমানবন্দর! উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি! জেনে নিন এই Airport-এর বিশেষ বিশেষ গুণ

মঙ্গলবার দেওঘর বিমানবন্দরের উদ্বোধন করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই বিমানবন্দরের মাধ্যমে আপাতত দেওঘর বিমানবন্দর থেকে কলকাতা পর্যন্ত বিমান পরিষেবা শুরু হবে এবং ধীরে ধীরে যাত্রীরা এখান থেকে আন্তর্জাতিক মানের বিমান পরিষেবার সুবিধা পেতে শুরু করবেন।

ঝাড়খণ্ডের রাঁচির বিরসা মুণ্ডা বিমানবন্দরের পরে দেওঘর বিমানবন্দর হবে রাজ্যের দ্বিতীয় বিমানবন্দর। দেওঘর বিমানবন্দর ঝাড়খণ্ডের উত্তর-পূর্ব অংশ এবং দক্ষিণ-পূর্ব বিহারের কিছু জেলায় পরিষেবা দেওয়ার জন্য তৈরি করা হয়েছে।

এই বিমানবন্দর সারা দেশে বৈদ্যনাথ মন্দিরের তীর্থযাত্রীদের যাতায়াতের চাহিদাও পূরণ করবে।দেওঘর বিমানবন্দর ৬৫৪ একর জুড়ে বিস্তৃত। বিমানবন্দরটির একটি ২৫০০ মিটার দৈঘ্যের রানওয়ে রয়েছে, যা এয়ারবাস A320 এবং বোয়িং 737 বিমান উভয়ই পরিচালনা করতে সক্ষম।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২৫ মে ২০১৮-এ ঝাড়খণ্ডে বিমানবন্দরের উন্নয়নের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। ভারতীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে বিমানবন্দরটি নির্মাণ করেছে। এর মধ্যে রানওয়ে নির্মাণ অন্তর্ভুক্ত ছিল, যার দৈর্ঘ্য ২,৫০০ মিটার এবং চওড়া ৪৫ মিটার।

একটি ৪,০০০ বর্গ মিটার টার্মিনাল বিল্ডিং তৈরি করা হয়েছে যা প্রতি ঘণ্টা ২০০ জন যাত্রী পরিচালনা করতে পারে। এখানে একটি এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল টাওয়ার, দুটি এয়ারবাস A320 এর জন্য একটি এপ্রোন, ট্যাক্সিওয়ে এবং একটি বিচ্ছিন্নতা রয়েছে।

টার্মিনাল বিল্ডিংটিতে ছয়টি চেক-ইন কাউন্টার এবং দুটি লাগেজ বেল্ট রয়েছে, যেখানে ২০০ জন যাত্রীর পিক আওয়ার হ্যান্ডলিং ক্ষমতা রয়েছে।

টার্মিনাল বিল্ডিংয়ের নকশা বৈদ্যনাথ মন্দিরের কাঠামোর দ্বারা অনুপ্রাণিত, এবং আদিবাসী শিল্প, হস্তশিল্প এবং স্থানীয় ম্যুরাল ইত্যাদি দিয়ে পেন্টিংগুলি বিশেষ বৈশিষ্ট্যযুক্ত।

আজ ১২ জুলাই দেওঘর বিমানবন্দর উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাবা বৈদ্যনাথ ধামে প্রার্থনা করবেন। এর পাশাপাশি ঝাড়খণ্ডকে আরও অনেক প্রকল্প উপহার দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

দেওঘর বিমানবন্দর: বাবা ভোলেনাথের নগরী দেওঘরে এই বিমানবন্দর চালু হওয়ায় এ বছর শ্রাবণী মেলায় ভক্তদের এখানে পৌঁছনও সহজ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।