মানুষ তৃণমূলের কাছে আর কোন রাজনীতি প্রত্যাশা করে না'। শমীক ভট্টাচার্য এও বলেন, 'তৃণমূলের কর্মসূচি রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ কিনা তা নিয়ে কোনও আলোচনার আর প্রয়োজন নেই। তৃণমূল পাহাড় থেকে সাগর চলো অভিযান করতে পারে কিন্তু সবই ব্যর্থ হবে'।
advertisement
পাখির চোখ পঞ্চায়েত ভোট। লক্ষ্য মানুষের পঞ্চায়েত গড়া৷ স্লোগান তৈরি করা হয়েছে, তৃণমূলে নবজোয়ার৷ যা জনসংযোগ যাত্রা ও গ্রাম বাংলার মতামত সংগ্রহের মধ্যে দিয়ে চলবে৷ আর বাংলার শাসক দলের এই কর্মসূচিতে ৬০ হাজার বুথ, ৩৩৪৩ পঞ্চায়েত পরিক্রমা করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷
এই গোটা পরিক্রমায় ৩৫০০ কিলোমিটার চলবে বিশেষ এক প্রচার বাস৷ যা খানিকটা দিদির দূতের গাড়ির মতোই৷ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই জনসংযোগ যাত্রায় একাধিক জায়গা রাজনৈতিক ভাবে গুরুত্বপূর্ণ। ২০১৯ সালের লোকসভা ও ২০২১ সালের বিধানসভায় খারাপ ফল যে সব জায়গায় হয়েছিল, সেখানে সভা করার উপরে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সাগরদিঘি যাবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
সম্প্রতি সেখানে উপনির্বাচনে হেরেছে তৃণমূল৷ জন সংযোগ যাত্রায় যাবেন নানুরেও৷ বীরভূমের তিনটি কেন্দ্রে যাবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক৷ শুভেন্দু অধিকারীর জেলা পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগর, পটাশপুর, নন্দকুমার, পাঁশকুড়াতেও যাবেন৷ পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, কোচবিহার, মুর্শিদাবাদ, দুই ২৪ পরগণা ও বাঁকুড়ায় এই টানা দুমাসের কর্মসূচিতে বেশি সময় দেবেন অভিষেক বলে তৃণমূল সূত্রের খবর।
ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী