অভিষেক বলেন, ‘এ বার এই মেদিনীপুরের বিশ্বাসঘাতককে দূর করতে হবে৷ সেই বেইমানকে দূর করতে আপনারা ব্লকে ব্লকে, বুথে বুথে মিছিল করুন৷ মেদিনীপুকে বিশ্বাসঘাতক মুক্ত করতে হবে৷ ডিসেম্বর মাসের আজ তিন তারিখ৷ কাল থেকেই এই কর্মসূচি শুরু করুন৷’ সভার শুরু থেকেই এ দিন শুভেন্দু অধিকারীকে তীব্র আক্রমণ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷
আরও পড়ুন: রতন টাটা-মুকেশ আম্বানি-আজিম প্রেমজিরা ছোটবেলায় কেমন দেখতে ছিলেন? শিল্পপতিদের এই ছবিগুলি ভাইরাল
advertisement
অভিষেক বলেন, ‘‘ডায়মন্ডহারবারে ফুটেজ খেতে গিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী৷ আসলে ফুটেজ খেতেও আমার নাম নিতে হয়, দিল্লির নেতাদের কাছে নম্বর বাড়াতেও আমার নাম নিতে হবে৷ কাঁথিতে শনিবারের সভার আগে হঠাৎই একটি গ্রামে প্রবেশ করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সেখানে গিয়ে গ্রামবাসীদের একাধিক অভাব-অভিযোগের কথা শুনেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷
আরও পড়ুন: দুয়ারে সরকার নিয়ে বিরাট ঘোষণা মমতার! উত্তরবঙ্গকে বললেন, 'ভালবাসি'
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে শুভেন্দু অধিকারী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন,' পঞ্চায়েত ভোটের প্রচার শুরু করলো কাঁথি পুরসভা এলাকায়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নাবালক ও অর্ধশিক্ষিত বলেও কটাক্ষ করলেন শুভেন্দু। কাঁথিতে সভা করার আগে অভিষেকের গ্রামে যাওয়া প্রসঙ্গে শুভেন্দু বললেন,' যিনি বিলাসবহুল গাড়িতে চড়েন, চিকিৎসার জন্য সাধারণ মানুষ যেখানে চিকিৎসাই করাতে পারে না সেখানে বিদেশে বিলাসবহুল হাসপাতালে ভর্তি হন, সে আবার গ্রামের মানুষের দুঃখ কী বুঝবে। এসবই নাটক। ওর পিসি কদিন আগে হিঙ্গলগঞ্জে গিয়ে যে নাটক করেছেন ভাইপোও সেই নাটক করলেন'।
অভিষেক প্রসঙ্গে শুভেন্দুর দাবি,' পিসির সাম্রাজ্য চলে গেলে দুটো লোক নিয়ে মিটিং করতে পারবে না। ঘর থেকে বের হতে পারবে না'। পাশাপাশি শুভেন্দুর কথায়, ১০০ দিনের কাজ সহ কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হয়েছে এই জেলায়। দুর্নীতি করে পালাতে পারবেন না ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ'। যদিও শুভেন্দুকে কাঁথির সভামঞ্চ থেকে অভিষেকের আরও নানা ইসুতে আক্রমণ প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে কার্যত তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে শুভেন্দুর সাফ কথা,' ওর কথার আর কোনও উত্তরই দেব না। ওর মুখ্যমন্ত্রী পিসিকে হারিয়েছি। রাজনীতিতে ও আমার কাছে নাবালক। চোর ডাকাতের বক্তব্যের কী উত্তর দেব'।