অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন অভিযোগট সামনে এনে ট্যুইটারে লেখেন, "যারা মুখে জাতীয়তাবাদের কথা বলে তাঁরাই জাতীয় সঙ্গীত গাইতে পারে না। তাহলে কি আপনারা ক্ষমা চাইবেন?"
কিন্তু ঠিক কোন জায়গায় ভাবে অবমাননা হল? ভি়ডিওতে দেখা যাচ্ছে বিজেপির এই যোগদান মেলায় সার দিয়ে দাঁড়িয়ে জাতীয় সঙ্গীত গাইছেন শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়রা। তালটা কাটে দ্বিতীয় পঙক্তিতে। 'জনগণমঙ্গলদায়ক জয় হে'-এর জায়গায় জনগণমনঅধিনায়ক জয় হে-বাক্যবন্ধকেই পুনর্বার গাইতে শোনা যায় ওই বিজেপি নেতাদের। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করেনি নিউজ১৮ বাংলা।
advertisement
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মত, একদিকে ধর্মীয় মেরুকরণ, অন্য দিকে দেশপ্রেম, গোটা দেশেই সাংগঠনিক বিস্তারে বিজেপির অস্ত্র এটাই। লড়াইয়ে নেমে অভিষেক বন্দ্যপাধ্যায় গেরুয়া শিবিরকে ঘায়েল করতে চাইছেন তাদের অস্ত্রেই। এমনকি এর জন্য বিজেপির ক্ষমাপ্রার্থনাও দাবি করেছেন অভিষেক।
গতকাল অর্থাৎ শনিবারই নয়াদিল্লিতে অমিত শাহের বাসভবনে বিজেপিতে যোগদান করেছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রবীর ঘোষালরা। তারপর এদিন ডুমুরজোলায় ছিল আনুষ্ঠানিক যোগদান পর্ব। সেখান থেকে ডবল ইঞ্জিন সরকার গড়ার বার্তা দেন রাজীব-শুভেন্দু। অমিত শাহ এই সভা থেকেই বলেন কমিউনিস্টরা বাংলার সর্বনাশ করেছিলেন, সেই সর্বনাশকেই নাকি আরও ডেকে এনেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। দলত্যাগ নিয়ে অমিত শাহের যুক্তি ছিল, "মানুষ তৃণমূল ছাড়ছে কারন আজকে মা-মাটি-মানুষের স্লোগান দেওয়া পার্টিতে তোলাবাজি চলছে।"
বহুদিনের প্রত্যাশিত ফ্রেমটা তৈরি হওয়ার তৃপ্ত ছিল বিজেপি। বিশেষত হাওড়ায় ভাঙন পর্ব সমাপ্ত হতেই বিজেপি প্রস্তুতি নিচ্ছে কলকাতা ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগণায় ঝাঁপানোর। কিন্তু কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আত্মবিশ্বাসী গেরুয়া বাহিনীর মুখম্লান করার অস্ত্র খুঁজে নিলেন অভিষেক, দেখার প্রত্যুত্তরে কী বলে বঙ্গ বিজেপি।
