ইতিমধ্যে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ মধ্যপ্রদেশ পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। কুরেশির বিরুদ্ধে একাধিক মামলা বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানার জানতে চেয়েছে। কুরেশির আগেও একাধিক জঙ্গি কার্যকলাপের কীর্তি রয়েছে। মধ্যপ্রদেশ ছাড়া আর কোথাও কোনও কীর্তি আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে এসটিএফ। এসটিএফ সূত্রে খবর, সোশ্যাল মিডিয়ায় রাকিব, সাদ্দাম, সৈয়দরা নিজের নাম আড়াল করে ছদ্ম নাম ব্যবহার করত। যাতে কেউ তাদের হদিশ না পায় সেই জন্য ছদ্ম নামের ব্যবহার।
advertisement
আরও পড়ুন: মোক্ষম সময়ে জালে আইএস জঙ্গি সাদ্দাম, জেরায় ভয়ঙ্কর তথ্য়! মধ্য়প্রদেশে ধৃত আরও এক
আরও পড়ুন: প্রাথমিকে চাকরির নামে লাখ লাখ টাকার প্রতারণার বিরাট অভিযোগ! গ্রেফতার বাংলার শিক্ষক
কুরেশি বিভিন্ন সোশ্যাল সাইট বা বিভিন্ন মাধ্যমে নিষিদ্ধ সাহিত্যের প্রচার করত বিভিন্ন পুস্তিকা, লিফলেটের মাধ্যমে। সে প্রাক্তন সিমির সদস্য। সাদ্দামকে সে পরিচালনা করত। এনআইএ ইতিমধ্যেই এসটিএফের থেকে জানতে পেরেছে ভিন রাজ্যে যে দু’জন গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ধর্মীয় ব্যক্তির উপর টার্গেট করেছিল ধৃত দুই জঙ্গি সাদ্দাম ও সৈয়দ সেই দুই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বিশেষ নিরাপত্তা প্রদান করার জন্য সুনিশ্চিত করা হয়েছে।
এসটিএফ সূত্রে খবর, মধ্যপ্রদেশ থেকে আরও এক ধৃত জঙ্গি আব্দুল রাকিব কুরেশি যে সাদ্দামকে গাইড করতো। ভিন রাজ্যে দুই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির উপর হামলার ব্লু প্রিন্টয়ে তার অংশগ্রহণ রয়েছে। হামলা বা খুনের ছক কুরেশির নির্দেশে করে সাদ্দামরা। রাকিবের থেকে যে সব পেন ড্রাইভ, ল্যাপটপ মোবাইল উদ্ধার হয়েছে কুরেশি থেকে সেখানেও জঙ্গি সংগঠনের কার্যকল্যাপ ও জেহাদি কনটেন্ট রয়েছে দাবী এসটিএফের।
এসটিএফ সূত্রে খবর, মধ্যপ্রদেশের কোতওয়ালি থানার অন্তর্গত খান্ডওয়া থেকে আব্দুল রাকিব কুরেশিকে সোমবার গ্রেফতার করে এসটিএফ। রাকিবের থেকে উদ্ধার হয় মোবাইল ফোন, পেন ড্রাইভ, বেশ কিছু ইলেকট্রনিক গেজেট ও নথি, জেহাদি কার্যকলাপে যুক্ত থাকার প্রামান্য নথি উদ্ধার হয়েছে। এসটিএফ ইতিমধ্যে তাকে লালবাজারে মধ্যপ্রদেশ থেকে নিয়ে আসে মঙ্গলবার। তাকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করা হবে এর পিছনে কার হাত রয়েছে? বড় কোনও জঙ্গি সংগঠনের মাথা রয়েছে দাবি এসটিএফের।
ARPITA HAZRA