রক্তচাপ, হিমোগ্লোবিন অত্যন্ত কমে যায়। সঙ্গে তীব্র শ্বাসকষ্ট শুরু হয়েছিল রোগীর। হাত কেন, প্রাণ বাঁচানোই দুঃসাধ্য ছিল। তবু চ্যালেঞ্জ তো নিতেই হবে! ভেন্টিলেশনে রেখে মনোজিত করের অস্ত্রোপচার শুরু হয়। ৫ ঘণ্টা ধরে অস্ত্রোপচার করা হয়। পায়ের শিরা হাতে লাগানো হয়। বাকি পেশী, ধমনী, স্নায়ু পুনঃস্থাপিত করা হয়।
আরও পড়ুন: পিছিয়ে গেল বিজেপির নবান্ন অভিযান! সাতের বদলে ১৩ সেপ্টেম্বর 'জেল ভরো অভিযান', কেন পিছল দিন?
advertisement
আরও পড়ুন: 'অপরাধ ক্ষমা করবেন...!' 'ত্রিপল-কাপড়' নিয়ে এবার মুখ খুললেন মনোরঞ্জন! যা বললেন বিধায়ক
মনোজিত কর এখন সুস্থ, হাতেও তাঁর সাড় চলে এসেছে। রবিবার, ছুটির দিন হওয়া সত্বেও যেভাবে চিকিৎসক, নার্সরা ঝাঁপিয়ে পড়ে দ্রুত অপারেশন করে মনোজিতকে সাক্ষাৎ মৃত্যুর মুখ থেকে বাঁচিয়ে তোলেন, তা এখনো স্বপ্নের মতন গোটা পরিবারের কাছে । মনোজিত করের স্ত্রী পেশায় ডায়েটিশিয়ান অনিন্দিতা কর জানাচ্ছেন, "হাতের যে অবস্থা ছিল,তাতে তাকাতেই পারছিলাম না। যে পরিমাণ রক্তপাত হয়েছিল,তাতে পুরো ভেঙে পড়েছিলাম। হাতের ক্ষত বিক্ষত অবস্থা দেখে হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে উপস্থিত প্রত্যেকেই শিউরে উঠেছিলেন, তারপরেও যে ভাবে গোটা হাসপাতাল আমার স্বামীকে সুস্থ করে তুলল, তার কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা আমার নেই। আর চিকিৎসক যেভাবে দ্রুত অস্ত্রোপচার করে আমার স্বামীকে সুস্থ করে তুললেন, তা নিয়েও আমার মুখে কোনও ভাষা নেই। এরাই হয়তো সেই চিকিৎসক,যারা সত্যিই অগ্নিশ্বর। "