TRENDING:

ইলেকট্রিক করাতে বিচ্ছিন্ন শিরা-উপশিরা! চিকিৎসকের তৎপরতায় হাত ফেরত যাদবপুরের মনোজিতের

Last Updated:

রক্তচাপ, হিমোগ্লোবিন অত্যন্ত কমে যায়। সঙ্গে তীব্র শ্বাসকষ্ট শুরু হয়েছিল রোগীর। হাত কেন, প্রাণ বাঁচানোই দুঃসাধ্য ছিল।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: গত ১৭ জুলাই, রবিবার ছুটির দিনে বাগান পরিষ্কার করছিলেন যাদবপুরের বাসিন্দা পেশায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার মনোজিত কর। ইলেকট্রিক করাত দিয়ে কাজ করার সময় অসাবধানতা বশত বাঁ হাতের ওপর করাত চালিয়ে দেন। ক্ষত বিক্ষত হয় হাত,অঝোরে রক্তপাত শুরু হয়। সেই অবস্থায় দ্রুত ঢাকুরিয়ার বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। রবিবার হওয়ায় আদৌ কোনো প্লাস্টিক সার্জেন সেখানে থাকবেন কিনা , তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন পরিবারের সদস্যরা। জরুরী বিভাগে যখন নিয়ে আসা হয়,তখন মনোজিত করের হাত পুরো ঠান্ডা। সেই সময় হাসপাতালে উপস্থিত থাকা রিকনস্ট্রাইক্টিভ সার্জেন,তরুণ চিকিৎসক অনির্বাণ ঘোষ জানান, " যে পরিস্থিতিতে রোগী এসেছিল, তাতে এক মুহূর্ত সময় নষ্ট মানেই সাক্ষাৎ মৃত্যু। ইলেকট্রিক করাতের আঘাতে হাত ক্ষতবিক্ষত। শিরা,উপশিরা,ধমনী,নার্ভ সব কেটে যায়।
হাসপাতালে মনোজিত কর। 
নিজস্ব চিত্র
হাসপাতালে মনোজিত কর। নিজস্ব চিত্র
advertisement

রক্তচাপ, হিমোগ্লোবিন অত্যন্ত কমে যায়। সঙ্গে তীব্র শ্বাসকষ্ট শুরু হয়েছিল রোগীর। হাত কেন, প্রাণ বাঁচানোই দুঃসাধ্য ছিল। তবু চ্যালেঞ্জ তো নিতেই হবে! ভেন্টিলেশনে রেখে মনোজিত করের অস্ত্রোপচার শুরু হয়। ৫ ঘণ্টা ধরে অস্ত্রোপচার করা হয়। পায়ের শিরা হাতে লাগানো হয়। বাকি পেশী, ধমনী, স্নায়ু পুনঃস্থাপিত করা হয়।

আরও পড়ুন: পিছিয়ে গেল বিজেপির নবান্ন অভিযান! সাতের বদলে ১৩ সেপ্টেম্বর 'জেল ভরো অভিযান', কেন পিছল দিন?

advertisement

আরও পড়ুন: 'অপরাধ ক্ষমা করবেন...!' 'ত্রিপল-কাপড়' নিয়ে এবার মুখ খুললেন মনোরঞ্জন! যা বললেন বিধায়ক

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুলিশ কর্মীদের মানবিক উদ্যোগ, বানিয়ে ফেললেন আস্ত স্কুল! এবার মিড ডে মিল নিয়েও বড় পরিকল্পনা
আরও দেখুন

মনোজিত কর এখন সুস্থ, হাতেও তাঁর সাড় চলে এসেছে। রবিবার, ছুটির দিন হওয়া সত্বেও যেভাবে চিকিৎসক, নার্সরা ঝাঁপিয়ে পড়ে দ্রুত অপারেশন করে মনোজিতকে সাক্ষাৎ মৃত্যুর মুখ থেকে বাঁচিয়ে তোলেন, তা এখনো স্বপ্নের মতন গোটা পরিবারের কাছে । মনোজিত করের স্ত্রী পেশায় ডায়েটিশিয়ান অনিন্দিতা কর জানাচ্ছেন, "হাতের যে অবস্থা ছিল,তাতে তাকাতেই পারছিলাম না। যে পরিমাণ রক্তপাত হয়েছিল,তাতে পুরো ভেঙে পড়েছিলাম। হাতের ক্ষত বিক্ষত অবস্থা দেখে হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে উপস্থিত প্রত্যেকেই শিউরে উঠেছিলেন, তারপরেও যে ভাবে গোটা হাসপাতাল আমার স্বামীকে সুস্থ করে তুলল, তার কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা আমার নেই। আর চিকিৎসক যেভাবে দ্রুত অস্ত্রোপচার করে আমার স্বামীকে সুস্থ করে তুললেন, তা নিয়েও আমার মুখে কোনও ভাষা নেই। এরাই হয়তো সেই চিকিৎসক,যারা সত্যিই অগ্নিশ্বর। "

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
ইলেকট্রিক করাতে বিচ্ছিন্ন শিরা-উপশিরা! চিকিৎসকের তৎপরতায় হাত ফেরত যাদবপুরের মনোজিতের
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল