বিমানবন্দরের অধিকর্তা আরআর মৌর্য জানান, অবতরণের পরে পাইলট সামনের চাকায় সমস্যা অনুভব করেন এবং সঙ্গে সঙ্গে কন্ট্রোল রুমকে জানানো হয়। এরপর বিমানটিকে আর ওড়ানো হয়নি এবং তৎক্ষণাৎ প্রযুক্তিগত দলের মাধ্যমে তদন্ত শুরু হয়। প্রাথমিক তদন্তে চাকা ফুটো হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। বিশেষজ্ঞদের একটি দল মেরামত এবং নিরাপত্তা পরীক্ষার কাজে নেমে পড়ে। অধিকর্তা জানান, যাত্রীদের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে এবং বিমানটিকে তখন পর্যন্ত স্থগিত রাখা হবে যতক্ষণ না সমস্যা পুরোপুরি সমাধান হয়।
advertisement
‘ছেলে চুরি হয়ে গিয়েছে!’ বলতেন মা, আসলে ৬ মাসের শিশুটিকে কী করেছেন তিনি? জানলে কেঁপে উঠবেন
বর্ষায় সাপ-খোপ ঢুকে পড়ছে ঘরে? বাড়ির চারপাশে লাগান এই ৫ গাছ, প্রাকৃতিক ভাবে মিলবে ‘রক্ষা কবচ’!
যাত্রীদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা
ঘটনার পর বিমানে থাকা যাত্রীদের গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দিতে অন্যান্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়। পাটনাগামী যাত্রীদের ট্যাক্সির মাধ্যমে পাঠানো হয়, আর লখনউগামী যাত্রীদের দিল্লির সংযোগকারী বিমানে স্থানান্তর করা হয়। ইন্ডিগো সংস্থা যাত্রীদের হওয়া অসুবিধার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেছে এবং বিনামূল্যে খাবার ও থাকার ব্যবস্থাও করে দেয়।
আগেও ঘটেছে এমন ঘটনা
উল্লেখযোগ্যভাবে, এটি প্রথমবার নয় যখন বিরসা মুন্ডা বিমানবন্দরে ইন্ডিগোর বিমানের সঙ্গে কোনও ঘটনা ঘটল। এর আগেও, ২ জুন তারিখে পাটনা থেকে রাঁচীগামী ইন্ডিগোর ফ্লাইট 6E 6152 একটি শকুনের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হয়। একের পর এক এই ধরনের ঘটনা বিমানবন্দর ও এয়ারলাইন্সের প্রযুক্তিগত প্রস্তুতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।
তদন্ত শুরু, নিরাপত্তায় জোর
এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (AAI) এই ঘটনার গুরুত্ব অনুধাবন করে তদন্ত শুরু করেছে। অধিকর্তা মৌর্য বলেন, “আমাদের প্রধান অগ্রাধিকার হল যাত্রীদের নিরাপত্তা। ঠিক কী কারণে এই প্রযুক্তিগত ত্রুটি ঘটেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যাতে না ঘটে, সেই জন্য কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।” ইন্ডিগোও একটি বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে, তারা যাত্রী নিরাপত্তার বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং গোটা ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চালানো হচ্ছে।