মেডিক্যাল কলেজের শতাব্দী প্রাচীন ইডেন বাড়ির তিনতলায় মুমূর্ষু শিশুদের জন্য গত এক বছর ধরে তৈরি হচ্ছিল ঝাঁ চকচকে সিক নিউবর্ন কেয়ার ইউনিট বা এসএনসিইউ কমপ্লেক্স। বিভিন্ন কারণে সেই কাজ পিছিয়ে গেলেও, বর্তমানে কাজ প্রায় শেষের মুখে রয়েছে। বাকি রয়েছে শুধু সেন্ট্রাল অক্সিজেন পাইপলাইন চালু করা। তবে হাসপাতাল সূত্রের খবর, কিছুদিন আগেই এই নির্মীয়মাণ কমপ্লেক্সে হানা দেয় দুষ্কৃতীরা। প্রায় ৩০০ মিটার লম্বা মোটা অক্সিজেনের পাইপ কেটে নিয়ে চম্পট দিয়েছে চোরের দল, যার দাম প্রায় কয়েক লক্ষ টাকা।
advertisement
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রের খবর, এই মেডিক্যাল কলেজের এসএনসিইউ রাজ্যের অন্যতম বড় শিশু চিকিৎসার ইউনিট। পুরোদস্তুর চালু হলে এই কমপ্লেক্সে সঙ্কটে থাকা ৭৫ জন সদ্যোজাতকে চিকিৎসা দেওয়া যাবে। বছরখানেক আগে ঠিক হয়েছিল, ইডেন বাড়ির তিনতলায় বিশাল জায়গাজুড়ে এই ইউনিট নতুনভাবে তৈরি করা হবে। ততদিন আশঙ্কাজনক সদ্যোজাতদের কোন ওয়ার্ডে রাখা হবে, তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছিলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: তেতে পুড়ে ছাই! রাজ্যের এই জেলায় তাপমাত্রা ছাড়াল ৪৪ ডিগ্রি! ১৪ জেলায় পারদ ৪০ এর উপরে
আপাতত, ইমার্জেন্সি বাড়ি তথা ক্যাজুয়ালটি ব্লক, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ লাগোয়া মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাব ও ইডেন বাড়ির একতলায় ভাগাভাগি করে রাখা হচ্ছে মুমূর্ষু শিশুদের। এমন একটা সময় নতুন করে চোরের উপদ্রব বাড়ায় সমস্যায় পড়েছে মেডিক্যাল কলেজ।
এই পাইপলাইন চুরি যাওযার কারণে মুমূর্ষু শিশুদের জন্য এসএনসিইউ চালু করাও অনিশ্চিত হয়ে পড়ল। কারণ, এক বছর ধরে তিনতলায় কাজ চলায় সঙ্কটে থাকা শিশুদের হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখতে বাধ্য হচ্ছিলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। চিকিৎসকরাও মুখিয়ে ছিলেন, কবে এই হাই প্রোফাইল কমপ্লেক্স চালু হবে এবং শিশুদের জন্য নতুনত্ব চিকিৎসার প্রসার ঘটবে।
আরও পড়ুন: জন বিস্ফোরণ! ভারত টপকে গেল চিনকেও, জানেন এখন দেশে জনসংখ্যা কত?
কে বা কারা এই কাজ করেছে তা এখনও ধরতে পারেননি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ৷ তদন্ত করছে পুলিশও। এই বিষয়ে হাসপাতালে উপাধ্যক্ষ চিকিৎসক অঞ্জন অধিকারী বলেন, "ন্যক্কারজনক ঘটনা। দুষ্কৃতীরা মুমূর্ষু শিশুদের চিকিৎসা পরিষেবাকেও ছাড় দিচ্ছে না। পূর্ত দফতরের কাছে ক্ষয়ক্ষতির এস্টিমেট চাওয়া হয়েছে। অন্তর্ঘাত রয়েছে কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।"
ওঙ্কার সরকার