তিনি বলেন, ''আবার ময়নাতদন্ত করতে চায় পুলিশ। কিন্তু তাতে রাজি হচ্ছে না পরিবার। আনিস খানের মোবাইল ফোনও দেওয়া হচ্ছে না। তাই তদন্তে অসুবিধা হচ্ছে।'' পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা করুক পরিবার, এমন আবেদন করেছেন ডিজি। সিটকে কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ তাঁর। এরপরই তিনি দাবি করেন, ''১৫ দিনের মধ্যে সব তথ্য আপনাদের সামনে চলে আসবে।''
advertisement
আমতার ছাত্র নেতা নিহত আনিস খানের রহস্য মৃত্যু নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। মৃত্যুর কিনারা করতে গত সোমবার দুপুরেই সিট গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৫ দিনের মধ্যে রিপোর্টও জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। হাওড়া জেলার (গ্রামীণ) পুলিশ সুপার আনিস খানের বাড়িতে পুলিশ প্রবেশের বিষয়টি আগেই খারিজ করেছিলেন। কিন্তু ডিজি জানিয়েছিলেন, তদন্ত সম্পূর্ণ হওয়ার আগে পুলিশ সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয়। সেই সূত্রেই এবার গ্রেফতার হলেন হোমগার্ড কাশীনাথ বেরা ও সিভিক ভলান্টিয়ার প্রীতম ভট্টাচার্য।
আরও পড়ুন: কী ভূমিকা ছিল ওই রাতে, ডেকে পাঠানো হল সিভিক ভলেন্টিয়ারকে, আনিস কাণ্ডে খুলবে জট?
ছাত্রনেতা আনিসের মৃত্যু-রহস্যকে কেন্দ্র করে ভবানী ভবনে তলব করা হয়েছিল সাসপেন্ড হওয়া তিন পুলিশ কর্মী এবং এক জন সিভিক পুলিশকে। আনিসের মৃত্যু-রহস্য নিয়ে তদন্ত চলাকালীন মঙ্গলবার সকালেই সাসপেন্ড করা হয়েছিল হাওড়ার আমতা থানার দুই পুলিশকর্মীকে। পাশাপাশি বসিয়ে দেওয়া হয়েছিল এক জন হোমগার্ডকেও। এই তিনজনই সেদিন রাতে ডিউটিতে ছিলেন। তিনজনেই আমতা থানা এলাকায় টহলদারির দায়িত্বে ছিলেন।
আরও পড়ুন: আনিস-হত্যায় পুলিশের দু’জন গ্রেফতার, বাংলাকে অশান্ত হতে দেব না: মুখ্যমন্ত্রী
সাসপেন্ড হওয়া পুলিশ কর্মীদের মধ্যে ছিলেন এএসআই নির্মল দাস), কনস্টেবল জিতেন্দ্র হেমব্রমও। আগেই কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছিল হোমগার্ড কাশীনাথ বেরাকে। তিন জনই শুক্রবার রাতে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সঙ্গে নিয়ে রাউন্ডে বেরিয়েছিলেন। আর ওই রাতেই আমতায় নিজের বাড়ির তিনতলার ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হয় ছাত্রনেতা আনিস খানের।