কমিশনের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ১ ডিসেম্বর মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। ২ ডিসেম্বর স্ক্রুটিনির শেষ দিন, ৪ ডিসেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষদিন আর ১৯ ডিসেম্বর সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত হবে ভোটগ্রহণ আ ২১ ডিসেম্বর ফল ঘোষণা।
কলকাতা ও হাওড়ায় ১৯ ডিসেম্বরই ভোট করাতে চেয়েছিল রাজ্য। কিন্তু সব পুরসভায় একসঙ্গে ভোট করানোর দাবিতে আদালতে যায় বিজেপি। সেখানেই রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানায়, রাজ্যে বহু দফায় পুরভোট চাইছে তারা। কমিশনের দেওয়া হিসেব অনুযায়ী এই মুহূর্তে ১১২টি পুরসভার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে পড়ে রয়েছে। একসঙ্গে এই ১১২ পুরসভার ভোট করানো সম্ভব নয়। কারণ সব ভোট একসঙ্গে করার মতো ইভিএম মজুদ নেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের হাতে। তাই একাধিক দফায় পুরভোট করতে চায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
advertisement
আরও পড়ুন: এক ট্যুইটেই 'সব' বুঝিয়ে দিলেন সুব্রহ্মণ্যম স্বামী! মমতা-সাক্ষাতের পরই বিরাট পদক্ষেপ
প্রসঙ্গত, রাজ্য বিজেপি-র তরফে সহ-সভাপতি প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় সব পুরসভায় একসঙ্গে ভোট করার আবেদন জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা করেন। সেই মামলাতেই হলফনামা দিয়ে হাইকোর্টকে নিজেদের সীমাবদ্ধতা জানায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। অর্থাৎ বিজেপি যা চেয়েছিল- একসঙ্গে রাজ্যে পুরভোট করা সম্ভব নয়। আগামী সোমবার শুনানির দিন ঠিক হয়েছে ওই মামলায়।
আরও পড়ুন: 'এটা প্রমাণ সাপেক্ষ', মমতার 'মাস্টারস্ট্রোকে' এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না দিলীপ ঘোষের!
ইতিমধ্যে রাজ্য হলফনামা দিয়ে হাইকোর্টে জানিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশনের দেখানো পথে হেঁটে একাধিক দফায় রাজ্যে পুরভোট হবে। প্রথম দফার ভোট প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল ১৯ ডিসেম্বর। ওই দিন কলকাতা এবং হাওড়া পুরো নিগমের ভোট চেয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু রাজ্যপাল সংশ্লিষ্ট বিলের উপরে নতুন করে ব্যখ্যা চাওয়ায় হাওড়া পুরভোট নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। তাই আপাতত কলকাতা পুরভোট নিয়েই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করল কমিশন। সেই সূত্রে আজ থেকেই কলকাতায় শুরু হয়ে গেল আদর্শ আচরণবিধি। এদিন থেকেই শুরু করা যাবে মনোনয়ন পেশও।