নবান্ন সূত্রে খবর জেলাশাসকদের কাছে পঞ্চায়েতের বিশেষ সচিব পদমর্যাদার এক আধিকারিক চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় গ্রামান্নোয়ন মন্ত্রক কাজের যে তালিকা তৈরি করে দিয়েছে তার ভিত্তিতেই ১০০ দিনের কর্মসংস্থান প্রকল্প রূপায়ণ করাতে হবে। এর বাইরে কোনও কাজ কার হলে তা বেআইনি। এধরনের কাজের কোনও পরিকল্পনা থাকলে তাএখনই যেন বাতিল করা হয়। একই সঙ্গে যারা এই প্রকল্পের কাজ চাইবেন শুধুমাত্র তাদেরই কাজ দিতে হবে। এই প্রকল্প রূপায়ণের ক্ষেত্রে কি কাজ করা হবে, তাতে কি সম্পদ সৃষ্টি হবে তা যথাযথভাবে নীরিক্ষন করতে হবে। জব কার্ড যেন নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা উপভোক্তার কাছে থাকে। এমনকি তা পঞ্চায়েতের কাছেও রাখা যাবে না। রাখা হলে তা বেআইনি। কারা কাজ করবেন তার একটি ই-মাস্টার রোল তৈরি করতে হবে। সেই মাস্টার রোলের ভিত্তিতেই মজুরির জন্য পে অর্ডার ইস্যু করতে হবে। সম্পদ সৃষ্টি হবে না এমন কোনও কাজ কারনো যাবে এই প্রকল্পের মাধ্যমে।
advertisement
আরও পড়ুন: সুন্দরবন এবার নতুন জেলা! নতুন জেলা বসিরহাটও! এতে কী সুবিধা হবে সেখানকার মানুষের? জানুন
শুধু তাই নয়, নবান্ন এর তরফে আরো জানানো হয়েছে কাজ দেওয়ার আগে সাত দফা নীতি রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করতে । রেজিস্টার জব কার্ড হোল্ডার এবার বাড়ির কর্মসংস্থানের রিপোর্ট, গ্রামসভায় রেজিস্টার রাখতে হবে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে মূলত তিনটি ক্ষেত্রেই কাজ দেওয়া যাবে। নদী সংস্কার , পার বাঁধানো,নীচু জমি ভরাট বা অকৃষি জমিকে কৃমিতে রূপান্ত করা,রাস্তার ধারে গাছ লাগানোর কাজই করতে হবে। মূলত কেন্দ্রীয় পরিদর্শন দলের রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় পরিদর্শনের ওপরই নির্ভর করছে ১০০ দিনের কাজে কেন্দ্রের থেকে রাজ্যের আর্থিক অনুদান পাওয়ার প্রসঙ্গ। তাই তার আগেই বিশেষভাবে সতর্ক রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতর।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়