কোম্পানির চিফ হিউম্যান রিসোর্স অফিসার মিলিন্দ লাক্কারের মতে, টিসিএস ‘দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে’ কর্মীদের অফিস থেকে কাজ শুরু করা দরকার। প্রসঙ্গত, আইটি সেক্টরের মধ্যে টিসিএস-ই প্রথম কর্মীদের সপ্তাহে পাঁচদিন অফিসে আসার নির্দেশিকা জারি করল।
গত তিন বছরে বিপুল সংখ্যক কর্মী নিয়োগ হয়েছে টিসিএসে। কিন্তু তাঁরা হয় ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ নয় তো হাইব্রিড পদ্ধতিতে কাজ করেছেন। অফিসে আসেননি বললেই চলে।
advertisement
লাক্কারের কথায়, ‘নতুন কর্মীদের অফিসে আসতে হবে। তবেই টিসিএসের বৃহত্তর কর্মশক্তির সঙ্গে মিলতে পারবে তারা। তাছাড়া টিসিএসের মূল্যবোধকে জানা এবং আত্মস্থ করার এটাই একমাত্র উপায়’।
আরও পড়ুন- সাতজন মানুষ, দুটো কুকুর-ছানা ও একটি মুরগিকে নিয়ে ছুটছে বাইক! তুমুল ভাইরাল ভিডিও
অক্টোবর থেকেই কর্মীদের সপ্তাহে পাঁচ দিন অফিসে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই সংস্থার তরফে বিভিন্ন ইউনিটে এই মর্মে ই-মেল পাঠানো হয়েছে।
অনেকে মনে করছেন, এর মাধ্যমে করোনা অতিমারী পূর্ব সময়ে ফিরে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে দিল টিসিএস। ২০২২-এর সেপ্টেম্বর থেকে কর্মীদের রোস্টার করে দেওয়া হয়। সেই সময় তিনদিন অফিসে আসা বাধ্যতামূলক ছিল।
লাক্কার বলছেন, ওয়ার্ক ফ্রম হোম সবার জন্য সুবিধাজনক। কিন্তু সিস্টেম সাপোর্ট করছে না।
চিফ অপারেটিং অফিসার এনজি সুব্রহ্মণ্যম বলছেন, ‘অনেকেই মনে করে অফিসে আসাই ভাল। ইতিমধ্যেই প্রায় ৭০ শতাংশ কর্মচারী অফিসে আসতে শুরু করেছেন। এটা ভাল দিক। আমরা বিপুল সংখ্যক কর্মী নিয়োগ করেছি। কিন্তু তার প্রেক্ষিতে যে অভিজ্ঞতা আমাদের হয়েছে… এই পর্যায়ে তাই সবাইকে ফের অফিসে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে’। সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘টিসিএসের কাজের পদ্ধতি, অভিজ্ঞতা, গ্রাহকের সঙ্গে কাজের ধরন কোথাও থেকে শেখা যায় না। এ জিনিস দেখে দেখে শিখতে হয়। এর জন্য অফিসই একমাত্র শেখার জায়গা’।
আরও পড়ুন- জাদুকরের টুপি থেকে খরগোশ বের করতে পারলে আপনি জিনিয়াস, সময় ১০ সেকেন্ড! পারবেন?
তবে এই নির্দেশিকা কোম্পানির পূর্বে ঘোষিত ২৫x২৫ পলিসির সঙ্গে যায় না। ২০২০ সালে তৎকালীন চিফ একজিকিউটিভ অফিসার রাজেশ গোপীনাথনের নেতৃত্বে কোম্পানি তার পরিকল্পনা ঘোষণার সময় বলেছিল, ২০২৫ সাল পর্যন্ত ২৫ শতাংশ কর্মী সুবিধামতো জায়গা থেকে কাজ করতে পারবেন। এছাড়া কর্মীদের ২৫ শতাংশের বেশি সময় ব্যয় করতে হবে না।