দুজনের বাড়ি থেকেই মিলেছে একাধিক চাকরি প্রার্থীর অ্যাডমিট কার্ডের জেরক্স। এগুলো কী ভাবে এল শান্তনু বা কুন্তলের কাছে, দুদিনের জিজ্ঞাসাবাদের পরও সঠিক উত্তর পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ ইডির। এই সকল সুপারিশকারীরা কী ভাবে এসেছিলেন শান্তনুর কাছে? আর্থিক লেনদেনই বা কি হয়েছিল? শান্তনু সেই সুপারিশ কাদের কাছে পৌঁছে দিয়েছিলেন, তারই সন্ধান পেতে চাইছেন ইডি কর্তারা।
advertisement
সূত্রের দাবি, শান্তনুর মতে তিনি একজন রাজনৈতিক কর্মী হওয়ার সুবাদে অনেক সময় বিভিন্ন জায়গা থেকে অনুরোধ আসে। তাই এই সকল সুপারিশ নিয়ে তার কাছে কোনও নির্দিষ্ট তথ্য নেই। যদিও শান্তনুর এই জবাব মানতে নারাজ তদন্তকারী সংস্থা।
আরও পড়ুন: রাজ্যপালের 'হাতেখড়ি' অনুষ্ঠান 'বয়কট' শুভেন্দু অধিকারীর! সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখলেন 'এই' কারণ
তারা মনে করছেন হুগলি জেলা থেকে শিক্ষা দফতরের নিয়োগকর্তাদের কাছে সুপারিশ পৌঁছে দেওয়ার কাজ করে থাকতে পারেন শান্তনু। এই জায়গা থেকেই ইডি কর্তারা চাইছেন শান্তনু বা তার কোনও সহযোগী এই সুপারিশ কার কাছে পৌঁছে দিয়েছিলেন জানতে। একইসঙ্গে শান্তনু-কুন্তল যোগসূত্রও বার করতে চাইছে ইডি।
তাই দুজনের বয়ান খতিয়ে দেখারও কাজও করা হচ্ছে বলে খবর।ইতিমধ্যে চলতি সপ্তাহে পরপর দুদিন ইডি দফতরে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তাপস মণ্ডলকে। তিনি ইডি আধিকারিকদের কাছে কুন্তল সম্পর্কে একাধিক অভিযোগ করেছিলেন। তবে সূত্রের দাবি, কুন্তল তা নসাৎ করে পাল্টা তার বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুললে তাপস কোনও উত্তর দিতে পারেননি।
