এদিকে চাকরি হারানো শিক্ষকরাও দ্বারস্থ হচ্ছেন ডিভিশন বেঞ্চের। চাকরিহারাদের বক্তব্য না শুনে কী ভাবে নির্দেশ? প্রশ্ন তুলে মামলা চাকরিহারাদের।
আরও পড়ুন: দিঘায় বিরাট বিপদ…! উত্তাল সমুদ্রে নামতেই সংঘাতিক কাণ্ড! এই ভিডিও দেখলে শিউরে উঠবেন
advertisement
“প্রাথমিক চাকরি বাতিলে ৩৬০০০ ‘সংখ্যা’ বিভ্রান্তিমূলক” এই মর্মে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ খোদ মামলাকারীদের। সংখ্যা বিভ্রান্তি কাটাতে আবেদন আইনজীবী তরুনজ্যোতি তিওয়ারি’র। আগামিকাল, মঙ্গলবার আবেদনের শুনানি, জানাল আদালত।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার নজিরবিহীন রায় দিয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশে জানান, একাধিক বেনিয়ম লুকিয়ে প্রাথমিকের নিয়োগে। ইন্টারভিউ ও অ্যাপটিটিউড টেস্ট সঠিক ভাবে নেওয়া হয়নি। সংরক্ষণ নীতিও মানা হয়নি প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার ২০১৬ সালে।
৪২৫০০ নিয়োগের মধ্যে ৩৬০০০ চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। যা ভূ-ভারতে নজিরবিহীন রায়। যদিও নির্দেশ অনুযায়ী, আগামী ৪ মাস স্কুলে পঠনপাঠনে যুক্ত থাকতে পারবেন বাতিল হওয়া শিক্ষকেরা। সেক্ষেত্রে পার্শ্বশিক্ষকের সমতূল্য বেতন পাবেন তাঁরা।প্রত্যেকের নতুন করে ইন্টারভিউ থেকে প্রক্রিয়া শুরু করতে বলা হয়েছে রায়ে। সেসময় যারা টেট উত্তীর্ণ হয়েছেন এবং তারপর যারা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হয়ে গেছেন, তাঁরাও ওই শূন্যপদে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন বলে বলা হয় নির্দেশে।
এই ৩৬০০০ চাকরি বাতিলের সংখ্যা নিয়ে ধোঁয়াশায় মামলাকারীরা। মামলাকারীদের যুক্তি অনুযায়ী, ২৭৪১৫ জনের চাকরি বাতিল হবে। তাই সংশোধনের আর্জি মামলাকারীদের।