আগামী ১ এপ্রিল থেকে শুরু হবে “দুয়ারে সরকার” ক্যাম্প , আর সেই ক্যাম্পে আনুষ্ঠানিক সূচনা হচ্ছে এই 'ভবিষ্যত ক্রেডিট কার্ড' স্কিম। 'ভবিষ্যত্ ক্রেডিট কার্ড' স্কিম কী? এ প্রসঙ্গে নন্দীগ্রাম-১ ব্লক মৎস্যচাষ সম্প্রসারণ আধিকারিক সুমন কুমার সাহু বলেন, বেকার যুবক-যুবতীদের জন্য রাজ্য সরকারের নতুন প্রকল্প 'ভবিষ্যত ক্রেডিট কার্ড', ১৮-৪৫ বছর বয়সী যুবক-যুবতী আর্থিক সহায়তা বাবদ সর্বাধিক পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাবেন।
advertisement
আরও পড়ুনঃ শহরের কাছেই ঘুরে আসুন 'এই' অসাধারণ জায়গায়, মুগ্ধ হয়ে কেটে যাবে সপ্তাহান্ত
মার্জিন মানি হিসেবে প্রত্যেক ঋন গ্রহীতাকে প্রকল্প মূল্যের ১০% ভর্তুকি দেওয়া হবে যার সর্বোচ্চ সীমা পঁচিশ হাজার টাকা। তিনি আরও জানান, ইতিমধ্যে বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন যাতে লোন পেতে অসুবিধা না হয়। পশ্চিমবঙ্গ ভবিষ্যত ক্রেডিট কার্ড প্রকল্প প্রচারে সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে নন্দীগ্রাম-১ নম্বর ব্লকে এলাকার বিভিন্ন প্রত্যন্ত গ্রামে গ্রামে।
নীলপুর গ্রামের এমনি এক সভায় উপস্থিত তরুন যুবক হাসিবুল খান বলেন, "ব্লকের মৎস্য আধিকারিকের আলোচনা সভায় এসে প্রকল্প সম্পর্কে জানতে পারলাম, ১৫ ডেসিম্যাল আয়তনের একটি পুকুরে মাছ চাষের প্রকল্প করব বলে ঠিক করেছি।" মাধবপুর গ্রামের তুলসী চরণ দাস বলেন, "আমাদের গ্রামের এক প্রান্তে নন্দীগ্রাম-১ নম্বর ব্লকের মৎস্য দফতরের এই আলোচনা হয়, এখানে পশ্চিমবঙ্গ ভবিষ্যত ক্রেডিট কার্ড প্রকল্প সম্পর্কে জানতে পেরে অনেকেই উদ্বুদ্ধ হয়েছে, অনেকেই আবেদন করবে।"
মাধবপুর গ্রামের গৃহবধূ মমতা দাস বলেন, "শ্বশুর মশাইয়ের থেকে পুকুর লিজ নিয়ে বাড়ির খিড়কি পুকুরে মাছ চাষের প্রকল্প করব।" মাধবপুর গ্রামের শেখ মানোয়ার হোসেন বলেন, "আলোচনা সভায় এসে ভাল লাগল। ছেলেকে বলব আবেদন করতে।" নন্দীগ্রাম-১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ মৌসুমি পানি বলেন, "বাংলার যুব সমাজ যাতে বেকার না থাকে তাই এই প্রকল্প আনা হয়েছে, মৎস্য পেশা হিসেবে এলাকার যুবক-যুবতী এই প্রকল্প থেকে উপকৃত হবেন।" তিনি আরও জানান, আগামী সপ্তাহে এই বিষয়ে নন্দীগ্রাম কলেজে গিয়েও মৎস্য কর্মশালা করা হবে, সবিস্তারে আলোচনা করবেন ব্লকের মৎস্য আধিকারিক সুমন কুমার সাহু।
Saikat Shee