শিলিগুড়ি পুরনিগমের ১, ২, ৩, ৬, ১৭, ১৮, ২০, ২৩, ৩১, ৩৩, ৪৬, ৪৭, ২৫, ৩২, ৩৪, ২৬, ৭, ১৪, ২৭, ৪০, ৪৩, ১০, ৩৫, ১২, ৩৭, ৩৮, ৪৪, ১৩, ১৫, ২১, ৩৬, ৪১, ২৪, ৩০, ৩৯, ৪২, ২৮ ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। সিপিএম জয়ী হয়েছে ৪৫, ১৯, ২২, ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে। বিজেপি জয়ী হয়েছে ৫, ৮, ৪, ১১, ৯ নম্বর ওয়ার্ডে। কংগ্রেস জয়ী হয়েছে ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে।
advertisement
অন্যদিকে, বেলা গড়াতেই তৃণমূলের পাল্লা ভারী হতে শুরু করে। শিলিগুড়ির পরবর্তী মেয়র হচ্ছেন গৌতম দেব। এমনটাই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।সোমবার চার জায়গায় পুরভোটের ফলাফলে সবুজ ঝড় উঠতেই মুখ্যমন্ত্রী সাধারণ মানুষকে কৃতজ্ঞতা জানান। পাশাপাশি শিলিগুড়ির পরবর্তী মেয়র গৌতম দেব হবেন, একথাও জানিয়েছেন। এদিন মেয়র ঘোষণা হওয়ার পর গৌতম দেব মুখ্যমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানান। পাশাপাশি তিনি বলেন, দলের এক সৈনিক হিসেবে এবং মুখ্যমন্ত্রী ও শিলিগুড়ির সাধারণ মানুষ যে আস্থা তাঁর ওপর রেখেছেন, তা যেন তিনি রাখতে পারেন সে চেষ্টা করবেন।
সেইসঙ্গে শিলিগুড়িতে পরাজিত হলেন সিপিএম (CPM) প্রার্থী তথা বর্ষীয়ান রাজনীতিক অশোক ভট্টাচার্য (Ashok Bhattacharya)। ছ'নম্বর ওয়ার্ডে পরাজিত হলেন তিনি। উল্লেখ্য, এই ছ'নম্বর ওয়ার্ড থেকেই বছর বছর জিতে এসেছেন অশোকবাবু। ওই ওয়ার্ডের ৩২ শতাংশ মানুষই সংখ্যালঘু। তাঁদের সমর্থনই সেখানে দিনের পর দিন ক্ষমতায় রেখেছে বামেদের। এদিন অশোকবাবু বলেন, "ব্যক্তিগত ভাবে আমার ভোটে লড়ায় আপত্তি ছিল। কিন্তু দল সিদ্ধান্ত নিলে ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তও তুচ্ছ হয়ে যায়। দলের সিদ্ধান্তকেই তাই অগ্রাধিকার দিয়েছি। বামেদের বিপর্যয় দেখতে পারছি। বাকিটা সব শেষে বলব।"
একইভাবে শিলিগুড়ির বিধায়ক তথা ২৪ নং ওয়ার্ডের বিজেপির 'হ্যাভিওয়েট' প্রার্থী ডঃ শঙ্কর ঘোষও পরাজিত হয়েছেন। তিনি বলেন, "ভোট গণনার পর আর কিছু সেই অর্থে বলার নেই। শিলিগুড়ির মানুষ তথা আমার ওয়ার্ড অর্থাৎ ২৪ নং ওয়ার্ডের মানুষ মনে করেছেন আমি যোগ্য নই তাই আমি হেরেছি। মানুষের সিদ্ধান্ত শিরোধার্য।"
আনন্দ উল্লাসে শিলিগুড়ির রাজপথ আজ সবুজময়। জয় প্রসঙ্গে দার্জিলিং জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, "এই জয় প্রত্যাশিত জয়। শিলিগুড়িবাসীর জয়। এই জয় মা মাটি মানুষ সরকারের জয়। এই জয় উন্নয়নের জয়। সর্বতোভাবে এই জয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুযোগ্য নেতৃত্বের জয়।" তিনি বলেন, "শুভেচ্ছা জানাই প্রতিটি জনপ্রতিনিধিদের। দায়িত্ব বেড়ে গেল। মানুষের আস্থা অর্জন করতে চেয়েছিলাম, মানুষ রেখেছেন। এখন কাজে ব্রতী হতে হবে।"
Vaskar Chakraborty