মোহিতনগর কলোনি স্থাপনের পর থেকে আজ পর্যন্ত তার অনেক পরিবর্তন হয়েছে। বেড়েছে বসতির সংখ্যা। মহাসড়ক, কারখানা, রেল স্টেশন, চা বাগান ইত্যাদির ফলে সামাজিক অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। জেলার তথা দেশের গর্ব এই মহান ব্যক্তির নামে এবার তাই মূর্তি বসানোর পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। বহু ইতিহাসের সাক্ষী এই মোহিত নগর-এলাকার পঞ্চায়েত সঞ্জিত কর্মকার বলেন, মোহিতনগর যার নামে; সেই মোহিত মৈত্রের মূর্তি স্থাপন করা হবে।
advertisement
আরও পড়ুন- ডুয়ার্সে পালিত হল এভারেস্ট দিবস
এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, বহু বছর পেরিয়ে গেলেও আজ অবধি যেন চর্চার আড়ালেই জলপাইগুড়িবাসী রেখেছে তাঁকে। এই প্রসঙ্গে গবেষক ও এই অঞ্চলের কৃতী ব্যক্তিত্ব কৌস্তুভ বাগচী বলেন, "মোহিত মৈত্রের সম্পর্কে বিশদে তথ্য স্বতন্ত্র বীর বিনায়ক দামোদর সাভারকর লিখেছিলেন। এ ছাড়া বাংলা ভাষায় তাঁর খুব একটা চর্চা দেখা যায় না। ভারতের অগ্রগতির সাথে সাথে এগিয়ে গিয়েছে মোহিত নগরও। কিন্তু মোহিত মৈত্রকে ভুলে কিছু নয়, তাঁকে নিয়েই এগোতে হবে জেলাকে।"
আরও পড়ুন- এবার মেয়েরাও হবে ফুটবল রেফারি, আগামীতে ফিফায় খেলার স্বপ্ন
তিনি আরও বলেন, "এত বড় একজন বীর যোদ্ধার কোনো অস্তিত্বই রাখেনি বাঙালী বা জলপাইগুড়িবাসী। সাভারকারের জন্মদিনই মোহিত মৈত্রের মৃত্যুদিন কাকতালীয়ভাবে। সাভারকারের লেখা থেকে জানা যায়, তিনি দার্জিলিঙ, জলপাইগুড়িতে এসেছিলেন। এই ইতিহাস পুনরুদ্ধার হওয়া দরকার। প্রয়োজন সাভারকারের লেখার অনুবাদ হোক।" স্থানীয় স্তরে প্রশাসন বা সরকার যদি উদ্যোগ নেয় তবে মোহিত মৈত্রের সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য প্রকাশ করা সম্ভব হবে বলে তিনি জানান।
Geetasree Mukherjee