TRENDING:

Siliguri News: পৌষ পার্বণে ঢেঁকির গুরুত্বপূর্ণ এখনও 'অমলিন', পিঠে তৈরিতে চাল গুঁড়ো করতে ব্যস্ত মহিলারা

Last Updated:

আজ শুক্রবার পৌষ পার্বণ। বাংলার ঘরে ঘরে নানা পিঠে মিষ্টান্নের আয়োজন করে উদযাপন করা হয় বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী পৌষ মাসের এই শেষদিন

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#শিলিগুড়ি: ‘কশুদকুঁড়া গুঁড়া করি কুটিলাম ঢেঁকি। কেমনে চালাই সব তুমি হলে ঢেঁকি।’ প্রসিদ্ধ কবি-লেখক ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত তাঁর ‘পৌষ পার্বণ’ কবিতায় এভাবেই ঢেঁকির কথা উল্লেখ করেছেন। যা আজও অমলিন। বর্তমানে ডিজিটালাইজেশনের (digitalization) যুগেও পৌষ পার্বণ উপলক্ষে গ্রামেগঞ্জের পাশাপাশি শহরতলীর বুকেও ফিরছে ঢেঁকির ব্যবহার।
চাল গুঁড়ো করছেন মহিলারা
চাল গুঁড়ো করছেন মহিলারা
advertisement

আজ শুক্রবার পৌষ পার্বণ। বাংলার ঘরে ঘরে নানা পিঠে মিষ্টান্নের আয়োজন করে  উদযাপন করা হয় বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী পৌষ মাসের এই শেষদিনে (Siliguri News)। আর মাঘ মাসের আগমণের আয়োজন। জলপাইগুড়ি ও দার্জিলিং জেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের সঙ্গে শিলিগুড়ির মতো উত্তরবঙ্গের অন্যতম ব্যস্ততম বানিজ্যিক শহরের বুকেও, বৃহস্পতিবার দেখা যায় হাতে ঢেঁকিছাটা চালের গুঁড়ো বিক্রির ধুম। এদিন শিলিগুড়ির রাজপথে দেখা গেল ফাড়াবাড়ি, বৈকুণ্ঠপুর সহ বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকার মহিলারা পিঠে তৈরির জন্য ঢেঁকিতে চাল গুঁড়ো করছেন। তাঁদের কথায়, "ঢেঁকিতে ছাটা চালের গুঁড়ো দিয়ে তৈরি পিঠের স্বাদটাই আলাদা। তাছাড়া মেশিনে ভাঙানো চালের থেকে ঢেঁকিছাটা চাল দীর্ঘদিন রেখে দিলেও ভালো থাকে। তবে এখন ধান ও চাল ভাঙানোর মেশিন আসায় অনেকের কাছেই এর গুরুত্ব হারিয়েছে। কিন্তু পৌষ সংক্রান্তির আগে গ্রাম বলুন আর শহর; গৃহস্থের মহিলারা ঢেঁকিতে ছাটা চালই প্রথম পছন্দ করেন।"

advertisement

শিলিগুড়ি থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বে অবস্থিত গ্রাম্য এলাকা ফাড়াবাড়ি। সেখান থেকে সুভাষপল্লী নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস মোড় এলাকায় এসে ঢেঁকিতে চাল ছাটতে দেখা যায় বছর ৪৮-এর অঞ্জলীদেবীকে (Siliguri News)। তাঁর সঙ্গে কাজে হাত লাগিয়েছেন তাঁর পুত্রবধূ লীলা। শাশুড়ি-বৌমায় চাল ভাঙতে ভাঙতে বলেন, "আয় ঠিক আছে। মানুষ চাইছেন। তবে এই উপার্জন গতবছরের তুলনায় ভালো। এই এলাকায় বিগত ১০বছর ধরে সংক্রান্তির আগে বসে চালের গুঁড়ো বিক্রি করি। তবে গতবছর যে আকাল দেখতে হয়েছিল এবছর তুলনামূলক ভালো"।

advertisement

শিলিগুড়ির ভক্তিনগর এলাকা থেকে ডলি চক্রবর্তী সুভাষপল্লী এলাকায় চালের গুঁড়ো কিনতে এসে বলেন, "ছোটোবেলা থেকেই পৌষ সংক্রান্তিতে মাকে দেখে এসেছি ঢেঁকিতে চাল ভাঙতে। আজ দুই সন্তানের মা আমি নিজে। সেই রেওয়াজ ছাড়তে পারিনি। এর সঙ্গে পৌষ পার্বণ ও পিঠেপুলির বহু স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। ছোটবেলায় উৎসবের মেজাজে নবান্ন ও পৌষ পার্বণ হতো। কিন্তু এখন আর সেসব চোখে পড়ে না।" (Siliguri News)

advertisement

View More

নতুন বিয়ে হয়ে আলিপুরদুয়ার থেকে শিলিগুড়িতে এসেছেন অনুরাধা মোদক। এদিন তিনিও চালের গুঁড়ো, গুড়, সুজি কিনতে বেরিয়ে বলেন, "পাঁচ বছর বয়সে মায়ের কাছে ঢেঁকিতে চাল ভাঙা শিখেছি। একসময় বাড়িতে ঢেঁকিও ছিল। কিন্তু এখন আর তা নেই। তাই আলিপুরদুয়ারে থাকাকালীন বলুন আর এখন তো নতুন বাড়ি শিলিগুড়ি; সেই পৌষ সংক্রান্তি এলেই রেডিমেড ঢেঁকিতে চাল ভেঙে নিয়ে যাই। শীতের সময় পিঠেপুলির সঙ্গে ঢেঁকির গুরুত্বও কয়েকগুণ বেড়ে যায়"।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
দশমীতে রাবণ বধ! ১০১'তম বছরে 'মিনি ইন্ডিয়া'য় জ্বলল লঙ্কাধীস
আরও দেখুন

Vaskar Chakraborty

বাংলা খবর/ খবর/জলপাইগুড়ি/
Siliguri News: পৌষ পার্বণে ঢেঁকির গুরুত্বপূর্ণ এখনও 'অমলিন', পিঠে তৈরিতে চাল গুঁড়ো করতে ব্যস্ত মহিলারা
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল