এখন যে ঘর রয়েছে সেই ঘর বহু কষ্টে তৈরি পাট গাছের শোলা দিয়ে। একমাত্র ভরসা প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর। হত দরিদ্র মুন্না আলির দিন কাটে অনাহারে। তাঁর দাবি, যদি একটা আবাস যোজনার ঘর পাওয়া যায় তাহলে খুব ভাল হয়। তবে এর মধ্যেও যে চলছে দুর্নীতি।
আরও পড়ুন- প্রতিবেশীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর অভিযোগ, গ্রেফতার যুবক
advertisement
পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। আসলেই যাঁরা দুঃস্থ তাদের নাম নেই আবাস যোজনার তালিকায়। উল্টে আবাস যোজনার তালিকায় ঠাঁই হয়েছে ধনী ব্যক্তিদের।
ঠিক এইরকমই ছবি তুলে ধরছে নিউজ ১৮ লোকাল। রয়েছে ঝা চকচকে মার্বেল বসানো দালাল কোঠা। তাঁর নামই রয়েছে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘরের তালিকায়। এই নিয়ে জল্পনা জলপাইগুড়ির পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতে।
দেখা যাচ্ছে যাঁরা সার্ভে করতে এসেছেন তাঁদের বাড়ির গোয়ালঘর দেখিয়ে আবার যোজনার তালিকায় নাম নথিভুক্ত করিয়েছে । প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা ঘরের লিস্টে নাম বিভ্রাট। নাম নেই বহু গরিব মানুষের। অথচ লিস্টে নাম রয়েছে এলাকার বিভিন্ন প্রভাবশালী মানুষজনের।
জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের পাহাড় পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বড় চৌধুরীপাড়া সহ বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ গুরুতর। অন্যদিকে এ বিষয় নিয়ে সেখানকার বেনু রঞ্জন রায় জানান, পুরো বিষয়টা তাঁরা খতিয়ে দেখবেন। কারণ এই ঘরের যে তালিকা নথিভুক্ত করা হয়েছে তা ২০১৮ সালেরও আগের। তাই সাড়ে চার বছরের মধ্যে কতটা কী উন্নত হয়েছে বিভিন্ন এলাকায় সে বিষয়ে পুরো বিষয়টা তিনি খতিয়ে দেখবেন।
চকচকে দালান কোঠার বাড়ির হৃদয় বাবুর স্ত্রী অর্পিতা সাংবাদিকদের জানান, তাঁর শাশুড়ি একটি ঘরে থাকেন। তাঁদের কোনও নিজেদের ঘর নেই। তাই তাদের এই ঘরটা পেলে ভাল হয়।
আরও পড়ুন- Darjeeling-Sikkim Snowfall|| দার্জিলিং-সিকিমে তুষারপাতের সম্ভবনা, আজ মরশুমের শীতলতম দিন
এই বিষয়ে মুন্না আলী জানান, যাদের অর্থ আছে তারাই প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার তালিকায় বেশি নাম নথিভুক্ত করাচ্ছেন। আমাদের মতো গরীব মানুষেরাই বঞ্চিত হচ্ছি। এইভাবেই বড়লোকদের দুর্নীতির চাপে হারিয়ে যাচ্ছেন সমাজের আসল গরিব মানুষরা। মুন্না আলির মতো অনেকেই, যাদের আসলেই মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকুও নেই, ভরসা করে রয়েছেন কবে আবাস যোজনার ঘরটুকু পাবেন, তারাই বঞ্চিত।
সুরজিৎ দে