সোমবার সকাল থেকে পুরভোটের গণনা শুরু হওয়ার পর এই শহরে বেড়ে যায় আবির খেলা। ফলাফল প্রকাশিত হতেই শিলিগুড়ি কলেজ সংলগ্ন এলাকায় বিভিন্ন ওয়ার্ডের কর্মী-সমর্থকরা হাজির হতে শুরু করেন। ভোটবাক্স খুলতেই, একে একে প্রার্থীদের জয়ের খবর আসতে শুরু করে। আর তাতেই ঢাক-ঢোল পিটিয়ে নাচে-গানে উল্লাসে ফেটে পরেন কর্মীরা (Siliguri News)। সঙ্গে আকাশ বাতাসে ওড়ে সবুজ আবির।
advertisement
শিলিগুড়ি ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের এনজেপি বাজার চত্বরে এক দশকর্মা ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন রকমের আবির বিক্রি করে আসছেন। নাম অপ্রকাশে শর্তে তিনি নিউজ ১৮ লোকাল -কে বলেন, "৩০ বছরের উপরে হয়ে গেল এই দোকান চালাচ্ছি। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দল এমনকি রঙ খেলাতেও আবির নিয়ে যায়। কিন্তু এবার সবুজ আবিরের এতো চাহিদা ছিল যে শেষমেষ আমি বহু খদ্দেরকে না করে দিয়েছি। স্টকে মালই ছিল না।"
বিধানমার্কেট চত্বরের এক ব্যবসায়ী বলেন, "আমি আবিরের ব্যবসা করি না। কিন্তু জানতাম তৃণমূল জিতবে। মন বলছিল। তাই মহাজনের কাছ থেকে তিন বস্তা সবুজ আবির কিনে আনি। সেটাই খুচরা হিসেবে বিক্রি করছি। চাহিদা ভালই আছে। আর তৃণমূল তো জিতেই গেল। যতটুকু আবির এনেছিলাম, সবটাই বিক্রি হয়েছে। বাড়তি ইনকাম হল। ভালো লাগছে।" (Siliguri News)
এ প্রসঙ্গে শিলিগুড়ি কলেজ তৃণমূল ছাত্র সংগঠনের নেতা সুদীপ্ত দাস বলেন, "আসলে সেই ভাবে বলতে পারব না কত আবির আনা হয়েছে। কারণ দলের ছাত্র সংগঠন, মহিলা সংগঠন, শিক্ষক সংগঠন সহ বিভিন্ন সংগঠনের কর্মীরা এদিন উল্লাসে ফেটে পড়েন। তবে হিসেবটা এক হাজার কেজির উপরে তো আছেই। কারণ ছাত্র সংগঠনেই তো দু'শ কেজি সবুজ আবির আনা হয়েছে।"
জয়ের প্রসঙ্গ টেনে সুদীপ্তবাবু বলেন, "তৃণমূলের এই জয় সামগ্রিক জয়। প্রত্যেকটি সংগঠন যেভাবে দিনরাত এক করে মানুষের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছে তার জয়। এই ধরুন না আমাদের ছাত্র সংগঠন; ৪৭ এর মধ্যে ৪৭টি ওয়ার্ডেই স্ট্রিট কর্নার থেকে শুরু করে পদযাত্রা, ডোর টু ডোর ক্যাম্পেইন, কি বাদ রেখেছিল? আমরা মানুষকে বোঝাতে পেরেছি। তাই শিলিগুড়ির মানুষ দুই হাত তুলে আমাদের আশীর্বাদ করেছে। এখন সকলে মিলে একসঙ্গে আমরা কাজ করব।" (Siliguri News)
Vaskar Chakraborty