ঘটনা শিলিগুড়ির মিলনপল্লির এক সরকারি আবাসনের (Ghost In Siliguri)। বর্ধমানের এক বাসিন্দা নিজের পরিবারের সঙ্গে ওই আবাসনে থাকেন। তিনি পেশায় দমকলকর্মী। গত বেশ কয়েক বছর ধরেই সেই আবাসনে থাকেন ওই কর্মী। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে অদ্ভুত এক গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে, ওই পরিবার বাড়ির বাইরে এসে পড়েন। ভয়ে, আতঙ্কে কাঁপতে কাঁপতে ঘরের বাইরে বের হয়ে পড়েন পরিবারের সদস্যরা।
advertisement
বেশ কিছুদিন ধরে পোড়া এক তীব্র ঝাঁঝাল গন্ধ নাকে আসে। কোথা থেকে এই গন্ধ, তা আর বুঝতেই পারছিলেন না কেউ। প্রথম প্রথম বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিলেও, শেষে আতঙ্কের মাত্রা চরমে ওঠে (Ghost In Siliguri)। অনেকদিন ধরে এমন হওয়ার পর, শেষমেশ বিজ্ঞান মঞ্চের দ্বারস্থ পরিবার।
জানা গিয়েছে, ঠিক সন্ধ্যা আটটা থেকে সাড়ে আটটার দিকে নির্দিষ্ট একটি রুম (room) থেকে রহস্যজনক বিষাক্ত গন্ধ আসত। অস্বস্তিকর দম বন্ধ করা গন্ধটা বেশ কিছুক্ষণ থাকার পর রাতের দিকে কমে যায়(Ghost In Siliguri)। রহস্যজনক গন্ধের অত্যাচারে অসহ্য হয়ে গিয়েছিলেন পরিবারের সদস্যরা। তাজ্জব ব্যাপার, গন্ধ বের হয় ঠিক ওই রুম থেকেই। অন্যান্য ঘরে বা ব্যালকনিতেও (balcony) কোনও গন্ধ নেই। ভালো করে ঘর ঝাড়পোছ করলেও রাতে আবার সেই একই ঘটনা। পরিবারের মেয়ে অনেক কষ্টে খুঁজে পায় বিজ্ঞান মঞ্চের যোগাযোগ নম্বর (contact number)। মঞ্চের প্রতিনিধিরা আশ্বাস দেন অবশ্যই তাদের বাড়ি যাবেন সময় করে।
কথা মতো সেই 'ভুতূড়ে' বাড়িতে পৌঁছান বিজ্ঞান মঞ্চের সদস্যরা। সঙ্গে ছিলেন রসায়নের শিক্ষক, ইলেকট্রিশিয়ান (electrician) ও জলের মিস্ত্রি। বেশ কিছুক্ষণ ছানবিন করার পর পাওয়া যায় ভূত বাবাজীবনকে! গত বুধবার থেকে আবাসনের ওই নির্দিষ্ট রুমের (room) টিউব লাইটের (tubelight) চোখটি পুড়ছিল। লাইট জ্বালালেই ধীরে ধীরে বাড়ছিল পোড়া বিষাক্ত গন্ধ। বিজ্ঞান মঞ্চের সদস্যরা এসে দেখেন চোখটির অধিকাংশ পুড়ে গিয়েছে (Ghost In Siliguri)।
মিলনপল্লির এই ভৌতিক রহস্যের সমাধান করেন বিজ্ঞান মঞ্চের দার্জিলিং জেলা কমিটির কার্যকরী সভাপতি ডঃ গোপাল দে, সহ সভাপতি স্বপনেন্দু নন্দী, শংকর কর। এছাড়াও বিপ্লব দাস, কাব্যিক গাঙ্গুলী, সঞ্জয় মজুমদার প্রমুখ ছিলেন। এদিন শংকর কর বলেন, "টিউবলাইটটি পালটে নতুন এলইডি বাল্ব লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই টিউবলাইটের চোখ পুড়ে যাওয়ায় এই কাণ্ড"। এর সঙ্গেই ভীতি কাটিয়ে হাফ ছেড়ে বাঁচেন পরিবারটি।
Vaskar Chakraborty