আরও পড়ুন: বুধবারই পেতে পারেন ছুটি, কেবিনেই প্রিয় গানে গলা মেলালেন বুদ্ধবাবু! জানেন কোনটি?
বৃহস্পতিবার বিকেলে গরুমারার সাউথ রেঞ্জে জলঢাকা নদীর গা ঘেঁসে থাকা জঙ্গলে মায়ের সঙ্গে ঘাস খাচ্ছিল গন্ডার শাবকটি। সেই সময়ই হটাৎ নদীতে পরে যায় সে। স্থানীয়দের চিৎকারে ছুটে আসে বন বিভাগের টহলরত কর্মীরা। তাঁরা গন্ডার শাবকটিকে ভেসে যেতে দেখেই নিজেদের জীবনের পরোয়া না করে খরস্রোতা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে তাকে উদ্ধার করেছিলেন। এরপর খুনিয়া বন্যপ্রাণ শাখায় উদ্ধার হওয়া ওই গন্ডার শবকটির চিকিৎসা শুরু হয়। কিন্তু তাদের শেষ রক্ষা হল না। রবিবার তার মৃত্যুর কথা জানায় বন দফতর।
advertisement
এদিকে এই গন্ডার শাবকের মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গেই গরুমারা জাতীয় উদ্যানে গন্ডারের সংখ্যা কমে গেল একটি। এই ঘটনা প্রসঙ্গে লাটাগুড়ির পরিবেশ আন্দোলনের অন্যতম সক্রিয় কর্মী অনির্বাণ মজুমদার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এইভাবে বন্য প্রাণের মৃত্যুর জন্য দায়ী বন বিভাগের পরিকাঠামো। গরুমারা, জলদাপাড়া, সহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন সংরক্ষিত পার্ক, সাংচুয়ারিগুলোতে কোনও পশু চিকিৎসক নেই। আমরা এই বিষয়ে বার বার বন দফতরের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। আর তাই আজ ওই গন্ডার শাবকটির মৃত্যু হল।
সুরজিৎ দে