তিস্তার জল কমতেই যাবতীয় সব জিনিস নদীপারে ভেসে ওঠায় তা দেখতে ও কুড়োতে ভীড় জমে যায় এলাকায়। এরই মধ্যে ক্রান্তিতে তিস্তায় ভেসে আসা মর্টার শেল বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিল স্থানীয় ক’জন বাচ্চা। রাতে সেটি আচমকাই বিস্ফোরণ হয়। ঘটনায় ১ শিশু সহ আরও ৬ জন গুরুতর আহত হয়। তিস্তার অপর পার বারোপেটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা এক আদিবাসী পরিবারের বাড়িতে মজুদ রয়েছে একটি মর্টার শেল। ক্রান্তির ঘটনা সামনে আসায় উদ্বেগে ওই আদিবাসী পরিবারের সদস্যরা। তারা চায় যত তাড়াতাড়ি এই জিনিস পুলিশ নিয়ে যায় তত ভাল।
advertisement
আরও পড়ুন- শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর ভয়ঙ্কর ‘সুনামি’র সতর্কতা, জাপানে জারি ‘হাই অ্যালার্ট’!
আরও পড়ুন- দুর্ঘটনা নাকি খুন? ফাঁস হয়ে গেল শ্রীদেবীর মৃত্যুর আসল কারণ! ভয়ঙ্কর সত্য সামনে আনলেন বনি কাপুর
একইভাবে সেনাবাহিনীতে ব্যবহার্য যন্ত্রাংশ তিস্তা থেকে কুড়িয়ে এনেছিল গ্রামের বাচ্চারা। ভেবেছিল সেটিকে ভাঙলে দস্তা বা সিলভার বের করে বিক্রি করবে। কিন্তু ক্রান্তির ঘটনা সামনে আসতেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে গ্রামবাসীরা। এর পাশাপাশি পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চৌরঙ্গী এলাকাতেও মিলেছে বেশ কিছু সামগ্রী।
সর্দার পাড়ার বাসিন্দা আদিবাসী পরিবারের সদস্য শ্যামল ওড়াও বলেন, ‘নদীতে কাঠ সংগ্রহ করতে গিয়ে শেল পেয়েছিল। বাড়িতে নিয়ে রাখা হয়েছে। ক্রান্তিতে এক বাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটায় আমরা খুব আতঙ্কিত। পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছে। পুলিশ এসে ছবি তুলে নিয়ে গেছে। আমরা চাই তাড়াতাড়ি নিয়ে যাক।’ বসুনিয়া পাড়ার বাসিন্দা সৌদিপ রায়ও একই কথা জানান।
সুরজিৎ দে