কিন্তু কোথায় ভূত? কোথায় চিৎকার? কোন কিছুই কিন্তু এদিন রাতে শোনা গেল না বা দেখা মিলল না। তাহলে কি এটা গ্রামবাসীদের নিছক একটা মনের ভুল? এটা নিয়ে কিন্তু প্রশ্ন চিহ্ন রয়ে গেল। গ্রামবাসীরা এখনও আতঙ্কে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন। কি হয়েছিল সেদিন রাত্রে বা কেন তাদের মনে এখনও ভয়? গ্রামবাসীদের দাবি, রেল দুর্ঘটনার পর, রাতে নিহতদের আত্মারা রেলের কামরায় চিৎকার করছে। রাত হলেই নাকি বাঁচাও বাঁচাও আওয়াজ শোনা যায় রেলের কামরা থেকে। যদিও বিজ্ঞান মঞ্চ সমস্ত কথা অস্বীকার করেছে। মঙ্গলবার রাতেও দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে রাত জেগেছে ময়নাগুড়ি থানার আইসি সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী। ভূত ধরতে শীতের রাতেও কপালের ঘাম পায়ে পরেছে পুলিশের। অগত্যা খালি হাত! মিলল না কোনও অশরীরীর হদিশ। এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রেলের এক কর্মীও দাবি করেছেন, এখানে কিছু একটা রয়েছে। এরপরেই প্রশাসনের তরফে উদ্যোগ নেওয়া হয়।
advertisement
ময়নাগুড়ি ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক জানিয়েছেন, ভূত বলে কিছুই নেই, নিছক মানুষের একটি মনের ভুল। যুক্তিতর্ক অনেকই থাকতে পারে তবে ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক শুভ্র নন্দীর মতে, "ভূত এখানে নেই।" কেন গ্রামবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে বিডিও বলেন, "চোখের সামনে ভয়াবহ দুর্ঘটনা দেখতে পেয়ে তাঁরা আতঙ্কিত। সে কারণেই তাদের মনে ভয়ের সঞ্চার হয়েছে। ধীরে ধীরে তা কেটে যাবে।"
যদিও এ ব্যাপারে ময়নাগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি ঝুলন সান্যাল বলেন, "এই ধরনের ভূতের কোন অস্তিত্ব নেই এখানে।এটা গ্রামবাসীদের ভ্রান্ত ধারণা। আমরা বিষয়টি দেখছি।"
অন্যদিকে, বিজ্ঞান মঞ্চের এক প্রতিনিধি শৈবাল দাশগুপ্ত বলেন, "ভূত বলে কিছু আছে বলে আমি মনে করি না। ভূত নিয়ে যে ভয় পাচ্ছেন, আতঙ্কে আছেন, তা নিছকই গ্রামবাসীদের ভ্রান্ত ধারণা। এত বড় একটা ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে ওই এলাকায় সেই আতঙ্কটাই তাদের মনে ভয়ের সৃষ্টি করেছে।"
Vaskar Chakraborty