যা এখানকার প্রধান উৎসব ।জল্পেশ মন্দিরের গর্তে থাকে শিবলিঙ্গ। একে জল লিঙ্গ বা অনাদি বলা হয়। মন্দির ভ্রামরী শক্তিপীঠের সঙ্গে জড়িত। জল্পেশ হলেন দেবী ভ্রামরীর ভৈরব। শিবরাত্রির পর থেকে জর্দা নদীর তীরে মেলা শুরু হয় এবং একমাস ধরে চলে মেলা। সেই মেলা নিয়ন্ত্রণ করে মেলা কর্তৃপক্ষ এবং জেলা প্রশাসন। কথিত আছে, কোচবিহারের মহারাজা ১৬৬৫ সালে জল্পেশ মন্দিরের র্নির্মাণ করে ।
advertisement
এই মন্দির তৈরি নিয়ে বহু ইতিহাস রয়েছে তার মধ্যে একটা ঐতিহাসিক বিষয় হল মন্দির গুলো দেখতে মুসলিমদের মসজিদ মতো । যে সময় মন্দির নির্মাণ হয় সেই সময় তেমনভাবে কারিগর পাওয়া যায়নি। মহারাজা দিল্লি এবং আগ্রা থেকে কারিগর নিয়ে এসেছিল। তারা ছিলেন মুসলিম সম্পদের মানুষ তারা মসজিদের আদলে তৈরি করে জল্পেশ মন্দির। আরো অনেক ইতিহাস রয়েছে এই মন্দির নিয়ে।
অপরদিক গিরীন্দ্রনাথ দেব জানান, সামনেই শিব চতুর্দশী, গোটা জল্পেশ মন্দিরকে সেই জন্য সাজিয়ে তোলার কাজ চলেছে, যদিও সারা বছর জুড়েই ভক্তদের ভিড় থাকে বাবার মন্দিরে। তবে আসন্ন শিব চতুর্দশী উপলক্ষে এবার লক্ষ লক্ষ পুন্যার্থীর সমাগম হবে এটাই আশা করছি। মন্দিরের বিভিন্ন জায়গায় ছোটবড় ফাটল দেখা দিয়েছে। ওসব এখন সংস্কার করা হচ্ছে। মন্দিরের বিভিন্ন জায়গায় প্রয়োজনীয় কাজকর্মের কাজ চলছে।
আরও পড়ুন: Birbhum News: দ্বারকা নদীর ধারে সন্ধ্যারতি, নতুন আশা দেখছে তারাপীঠ
আমরা রাজ্য সরকার থেকে পাঁচকোটি টাকা পেয়েছি। ওই টাকা দিয়ে কাজগুলি করানো হচ্ছে। মন্দিরে একটি স্কাইওয়াক বানানো হচ্ছে। স্কাইওয়াকের উপর দিয়ে হেঁটে পুণ্যার্থীরা সরাসরি মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন।
সুরজিৎ দে