৬৫ বছরের প্রবীণ মৃৎশিল্পী সুশীল পাল চাকা ঘোরাতে ঘোরাতেই বলেন, " খুবই দুরাবস্থায় রয়েছি আমারা। লকডাউনের সময়ে একবেলা খেয়েই দিন কাটাতে হয়েছে। রেশনের চাল খেয়েই কোনও রকমে সংসার চালাচ্ছি।" মৃৎশিল্পীরা জানান, এবছরে মাটির জিনিসের চাহিদা একদমই নেই বললেই চলে। পুজো - পার্বণ তেমন না হওয়ায় তাঁদের তৈরি সামগ্রীর চাহিদা কমেছে । তার উপর মাটির দামও এবছরে যথেষ্ট চড়া । এক পিক আপ ভ্যান মাটির দাম ১৪ - ১৫ হাজার টাকা । আগে ট্রাকে করে মাটি আনা হত বলে জানান শিল্পীরা। বর্তমানে এক ট্রাক মাটির দাম ৩৫ হাজার টাকা।
advertisement
আরও পড়ুন: মেঝেতে পড়ে রক্ত, ময়লা! ঘুরছে কুকুর, বিড়াল! এটা হাসপাতাল? দেখুন ভয়াবহ ভিডিও
পাল পাড়ার বেশিরভাগ মৃৎশিল্পীরাই এখন পেশা বদল করতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানান। ননীগোপাল পাল বলেন, " শহরে গিয়ে রাজ মিস্ত্রির কাজ শুরু করেছি। অনেকে আবার দিনমজুরিও করছেন। পূর্ব পুরুষদের পেশা ছাড়তে আমরা বাধ্য হচ্ছি। অন্যদিকে ননীগোপাল বাবু বলেন,আগের মতো আর চাহিদা নেই মাটির প্রদীপের বাজারে গ্রাস করেছে প্লাস্টিকের টুনি লাইট বিভিন্ন ধরনের প্লাস্টিকের প্রদীপ সেই কারণে কদর কমেছে মাটির প্রদীপের ।
সুরজিৎ দে