প্রথম দুবার চরকের সঙ্গে পিঠে বড়শি গেঁথে ঘুরে খেলা দেখালেও তৃতীয় বার পিঠে গাঁথা বড়শির দড়ি ছিড়ে মাটিতে পরে যান মধু। বুকে পেটে আঘাত পেয়ে বাড়ি ফিরে আসে। এরপর থেকেই ক্রমশ শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকলে। চড়ক দলের গুরু আশ্বাস দেন কেউ বান মেরেছে যার ফলেই এই ঘটনা ও শারীরিক অসুস্থতা।
advertisement
আরও পড়ুন: চা বাগানে বেনজির বিপদ! বাইসনের তাণ্ডব, মৃত চা শ্রমিক
এভাবেই কার্যত বিনা চিকিৎসায় ন'দিন কোরানী পাড়া গ্রামের বাড়ীতেই পরে থাকে দিন মজুরের কাজ করে খাওয়া মধু বর্মন। সোমবার সমস্ত ঘটনা জানার পরেই এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য বিকাশ রায়, এক প্রকার জোর করেই আহত মধু বর্মনকে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যান চিকিৎসার জন্য। কিন্তু দীর্ঘ সময় বিনা চিকিৎসায় থাকার জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসকদের বহু চেষ্টার পরও মঙ্গলবার মৃত্যু হয় মধু বর্মণের।
আরও পড়ুন: পুজো চলার মাঝে আচমকা এ কীসের আর্বিভাব! চমকে গেলেন এলাকার বাসিন্দারা
ঘটনা প্রসঙ্গে পঞ্চায়েত সদস্য বিকাশ রায় জানান, "আমরা মানা করার পরেও মধু গিয়েছিল চড়ক খেলা দেখাতে। কিছু টাকা পাবে এই আশায়। মধুর স্ত্রী মানসিক ভাবে দুর্বল। একটি মাত্র ছোট্ট ছেলে রয়েছে। আমরা সর্বক্ষণ পরিবারটির পাশে থাকার চেষ্টা করব।"
সুরজিৎ দে






