ঘটনা প্রসঙ্গে এলাকার উপপ্রধান বেনুরঞ্জন রায় ক্ষোভের সঙ্গে জানান, এই নাবালিকার বাবা দিনমজুর। শনিবার সন্ধ্যায় স্ত্রীকে নিয়ে আত্মীয়য়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন। ঘরে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী এই নাবালিকা একাই ছিলেন। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় দরজার ছিটকিনি ভেতর থেকে ভাঙা, মেঝেতে পরে রয়েছেন নিথর নাবালিকা। অপরদিকে, মৃত নাবালিকার বাবা বলেন, মেয়ে প্রাইভেট পড়ে এসে ঘরে একাই ছিল, তখনই এই ঘটনা ঘটেছে, ওকে খুন করেছে।
advertisement
আরও পড়ুন: সাবধান, সাধুবেশে ঝুলি থেকে গায়ে সাপ ছুড়ে দিয়ে টাকা লুঠ কলকাতায়! বর্ষশেষে মারাত্মক কাণ্ড
দশম শ্রেণীর ছাত্রীর মামা জানান, সব কিছু দেখে-শুনে এটা পরিষ্কার যে দুষ্কৃতীরা ভাগ্নিকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু প্রতিরোধ করায় হয়তো পারেনি। কিন্তু ছেলেদের চিনে ফেলায় ওরা আমার ভাগ্নিকে খুন করেছে প্রমাণ লোপাট করার জন্য। শনিবার রাতেই মৃত নাবালিকার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায় পুলিশ। এক যুবককে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: নতুন বছরে যাত্রাশুরু বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের, ট্রেন ১৮-এর বিশেষত্ব জানলে চমকে যাবেন!
এদিকে রবিবার সকালে এলাকায় এমন ঘটনার খবর ছড়িয়ে পরতেই অভিযুক্তদের বাড়ি ভাঙচুর করে উত্তেজিত জনতা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বাবা মায়ের অনুপস্থিতিতে এলাকারই কিছু যুবক বর্ষবরণের রাতে ঘরের দরজা ভেঙে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। রাতে একটি ফোন পেয়ে ওই ছাত্রীর দিদি বাড়িতে ছুটে এসে দেখতে পান মেঝেতে পড়ে রয়েছে বোনের মৃতদেহ। খবর পেয়ে জলপাইগুড়ি কোতয়ালি থানার পুলিশ এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
সুরজিৎ দে






