আহত শিশুর নাম পত্রিকা ওরাও (১০)। সে চা বাগানের বাধ লাইনের বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যাবেলা শিশুটির মা বাড়ির উঠোনে তাকে খাওয়াচ্ছিলেন। সেই সময় আচমকাই একটি লেপার্ড বাড়ির উঠোনে ঢুকে শিশুটির উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং তাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। মায়ের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে লেপার্ডটি শিশুকে ফেলে দিয়ে চা বাগানের ভিতরে পালিয়ে যায়।
advertisement
আরও পড়ুনঃ পুরুলিয়ার অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজমে নতুন আকর্ষণ! টেলিস্কোপে নাইট স্কাই ওয়াচিং, আজই স্লট বুক করুন
ঘটনায় শিশুটি আহত হয়। স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে প্রথমে বানারহাট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে মালবাজার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
এই ঘটনায় এলাকায় তীব্র আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন বন দফতরের আধিকারিকরা। বিন্নাগুড়ি বন্যপ্রাণী স্কোয়াডের রেঞ্জার হিমাদ্রি দেবনাথ-সহ বনকর্মীরা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছেন। এলাকায় এখনও আতঙ্কের পরিবেশ রয়েছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, গত তিন মাসে কলাবাড়ি চা বাগান এলাকায় চিতাবাঘের হামলায় অন্তত ৭ জন আহত হয়েছেন। এর আগে এই বাগানে লেপার্ড হামলায় মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে।
বন দফতরের দাবি, ইতিমধ্যে কলাবাড়ি চা বাগান এলাকা থেকে ৭টি লেপার্ড খাঁচাবন্দি করা হয়েছে। হামলার ঘটনা বাড়তে থাকায় এলাকায় ১০ জন বনকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে এবং ২টি টহলদারি গাড়িও রাখা হয়েছে। তবুও লেপার্ডি আক্রমণ পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে বন দফতরের তরফে কলাবাড়ি এলাকার শ্রমিক বস্তিগুলিকে জাল দিয়ে ঘিরে ফেলার কাজ শুরু হয়েছে। যাতে লেপার্ড, চিতা লোকালয়ে ঢুকতে না পারে। তবে এলাকাবাসীর অনুমান, একটি অংশে কড়া নজরদারি থাকায় লেপার্ড অন্য এলাকায় চলে গিয়ে হামলা চালাচ্ছে।
